বান্দরবানে অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতা চ থোয়াই মং মার্মাকে খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনও উদ্ধার অভিযানে নেমেছে।শুক্রবার সকাল থেকে বান্দরবানের কুহালং, রাজবিলা, সদর, নোয়াপতংসহ বিভিন্ন এলাকার সহস্রাধিক লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে সম্ভাব্য এলাকাগুলোতে তল্লাশি চালিয়েছে।স্থানীয় লোকজন দশটিরও বেশি দলে বিভক্ত হয়ে পাহাড়ি জঙ্গলগুলোতে অভিযান চালায়। এ সময় তাদের সাথে পুলিশ সদস্যরাও ছিলেন। বিকাল পর্যন্ত তল্লাশি অভিযানে অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতা চ থোয়াই মং মার্মার কোনো খোঁজ পাওয়া না গেলেও কুহালং ইউনিয়নের জর্ডান পাড়ার কাছে একটি জঙ্গলে মানুষের জমাট বাঁধা রক্ত দেখতে পেয়েছেন স্থানীয়রা। রক্তের দাগ দেখে স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে, যে চ থোয়াই মং মারমাকে সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে কিনা।বান্দরবান সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, বেশ কয়েকটি এলাকার সহস্রাধিক লোকজন সকাল থেকে বিভিন্ন জঙ্গলে কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে তল্লাশি অভিযান চালায়। তাদেরকে পুলিশ সদস্যরা সহায়তা করেছে।তিনি বলেন, অভিযানে অপহৃত নেতার এখনও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি, তবে একটি স্থানে কিছু রক্তের দাগ দেখা গেছে। এই রক্ত যে তারই সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে রক্তের দাগ দেখার পর পুলিশ ও স্থানীয়রা আরো বিস্তীর্ণ এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।সদর উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা পাইহ্লা অং মারমা বলেন, সম্ভাব্য স্থানগুলো ঘিরে স্থানীয়রা ব্যাপকভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে। যেসব এলাকা দিয়ে সন্ত্রাসীরা অপহৃত নেতাকে নিয়ে গেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে সেসব জায়গায়ই তল্লাশি চালানো হচ্ছে।এদিকে রাজবিলা কুহালংসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পুলিশ ও স্থানীয়দের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতার সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে।উল্লেখ্য, বুধবার রাতে উজি মুখ পাড়া এলাকার একটি খামারবাড়ি থেকে পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বান্দরবান পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর চ থোয়াই মং মারমাকে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে। ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতিকে দায়ি করেছে।যদিও জনসংহতি সমিতির নেতারা অপহরণের ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করছে। গত পনেরো দিনের ব্যবধানে বান্দরবানের রাজবিলা কুহালং এলাকায় সন্ত্রাসীদের হাতে তিনজন নিহত ও দুজন অপহৃত হন। এরা সবাই জনসংহতি সমিতি ও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী সমর্থক।
তথ্য সুত্রঃ-(পরিবর্তন.কম)