নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধের এখনই সময় এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বান্দরবানে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে ১৬ দিনের প্রচারাভিযান উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৮ ডিসেম্বর (বুধবার) সকালে বান্দরবানের বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অনন্যা কল্যান সংগঠন (একেএস), গ্রাউস এবং তহ্জিংডং এর আয়োজনে অনন্যা কল্যান সংগঠন (একেএস) এর কনফারেন্স রুমে “ আমাদের জীবন,আমাদের স্বাস্থ্য,আমাদের ভবিষ্যৎ ” প্রকল্পের এই আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার বান্দরবান জেলা কর্মকর্তা সা চ সুই, অনন্যা কল্যান সংগঠন (একেএস) এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর দীনেদ্র ত্রিপুরা, তহ্জিংডং এর প্রজেক্ট ডাইরেক্টর মো.জিয়া উদ্দিন, দুনীর্তি প্রতিরোধ কমিটির জেলা সভাপতি অংচ মং , এডভোকেট মাধবী মারমা, গ্রাউস এর প্রজেক্ট কো-অডিনেটর টুলু মারমাসহ “ আমাদের জীবন ,আমাদের স্বাস্থ্য ,আমাদের ভবিষ্যৎ ” প্রকল্পের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা।
এসময় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তহ্জিংডং এর প্রজেক্ট ডাইরেক্টর মো.জিয়া উদ্দিন বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। “ আমাদের জীবন ,আমাদের স্বাস্থ্য ,আমাদের ভবিষ্যৎ ” প্রকল্পের কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন আর এর ফলে বান্দরবানে তুলনামুলক নারী নির্যাতন অনেকটাই কম হচ্ছে।
সভায় অনন্যা কল্যান সংগঠন (একেএস) এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর দীনেদ্র ত্রিপুরা বলেন,নারীরা আগের চেয়ে এখন অনেক সচেতন। একসময় নারীরা তাদের শারীরিক সমস্যা হলে কি করবে বুঝতে পারতো না, নির্যাতনের শিকার হলে কি করতে হতো তা জানতো না , কিন্তু বর্তমানে “ আমাদের জীবন ,আমাদের স্বাস্থ্য ,আমাদের ভবিষ্যৎ ” প্রকল্পের মাধ্যমে কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা সচেতন হয়েছে এবং নিজেকে জানতে পারছে আর অনেকেই শিক্ষার আলো পেয়ে নিজেকে বদলাতে শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন,২০১৯ সাল থেকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও সিমাভি নেদারল্যান্ডসের অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩ পার্বত্য জেলার ১০টি স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছে আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে জেলায় ৯০জন মেন্টর, ৯০টি ক্লাব ও ৩ হাজার ৬শ কিশোরী সদস্য কাজ করছে।
আলোচনা সভা শেষে “ আমাদের জীবন ,আমাদের স্বাস্থ্য ,আমাদের ভবিষ্যৎ ” প্রকল্পের কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা এক মনোরম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।