ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেছেন,দুর্যোগ হওয়ার আগে আগাম ব্যবস্থা নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে। যাতে আগাম প্রস্তুতি মাধ্যমে দুর্যোগের মোকাবেলা করতে পারি।তবে বর্তমান সময়ের ফেব্রুয়ারি হতে মে মাসের মধ্যখানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সেই অগ্নিকান্ডের বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় ঘরবাড়ি পূড়ে যায়। সেই দিকে লক্ষ্যে করে ফায়ার সার্ভিসকে প্রস্তুত থাকার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।সেই সাথে অগ্নিকান্ডের ক্ষতিগ্রস্থদেরকে চাউল,টিনসহ ইত্যাদি ত্রাণ পৌছে দিচ্ছি।জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি এসব কথা বলেন।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো.শেখ ছাদেক এর সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় জেলা প্রশাসক আরও বলেন,পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় হেডম্যান ও কারবারীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।যাতে জুম পাহাড়ের অগ্নি দিলে সহজভাবে ফায়ার লাইন ব্যবস্থা রাখে।কেননা একজনের কারণে অন্যজনের ক্ষতি সম্মুক্ষীন পড়তে না হয়।পাশাপাশি বন্যায় ও দুর্যোগ মোকাবেলায় মাঠে ম্যাজিষ্ট্রেট থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানাই।"মুজিববর্ষের সফলতা দুর্যোগ প্রস্তুতিতে গতিশীলতা’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকালে দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসক চত্বর থেকে প্রধান সড়ক হয়ে র্যালি বের করে পুনরায় একই স্থানে এসে সমাপ্ত হয়।সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আব্দুল কুদ্দুছ ফরাজি (পিপিএম),অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উম্মে কুলছুম,জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) সিমন সরকার,বান্দরবান ডেপুটি সিভিল সার্জন থোয়াই অংচিং মারমা,ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র ষ্টেশন কর্মকর্তা নাজমুল আলম,আনসার সার্কেল এডজুটেন্ট মো. হেলাল উদ্দীনসহ সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা ও গনমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।প্রসঙ্গত, ‘দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি, হ্রাস করবে জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি’- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হবে। দিবসটি পালনে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।মহান স্বাধীনতা দিবসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় পরিবর্তন করা হয়েছে ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’।আগের বছরগুলোতে দিবসটি মার্চ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার পালিত হলেও,বর্তমানে ১০ মার্চ পালিত হচ্ছে দিবসটি।১৯৯৭ সাল থেকে মার্চের শেষ বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’ পালিত হতো।এরপর দিবসটিকে ‘গ’ শ্রেণিভুক্ত করে ২০১২ সালের ৭ নভেম্বর মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।এভাবে চলে আসার এক পর্যায়ে ২০২১ সালে মহান স্বাধীনতা দিবস পড়ে মার্চের শেষ সপ্তাহে পরে বৃহস্পতিবার।একই দিনে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ দিবস পড়ায় সমস্যার সৃষ্টি হয় সংশ্লিষ্টদের জন্য।এ কারণে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বিশেষ সম্মতিতে ৩১ মার্চ জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালন করা হয়।মন্ত্রিপরিষদের ওই সম্মতিপত্রে সুবিধাজনক অন্য কোনও তারিখে দিবসটি পালন করার ব্যাপারে অনুশাসন দেওয়া হয়।জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাইয়ের পর জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালনের জন্য ১০ মার্চকে নির্বাচন করে।কারণ এদিন জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কোনও দিবস নেই।মন্ত্রণালয় জানায়,দিবসটির তারিখ নির্ধারণে গত ৬ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করা হলে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ১০ মার্চ ‘জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস’ পালনের বিষয়ে একমত পোষণ করে।আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার কার্যপত্রে বলা হয়েছে,বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত।বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদী ভাঙন,খরা, অগ্নিকাণ্ড, ভূমিধস ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ এদেশের জনজীবনে নিত্যদিনের ঘটনা।জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দুর্যোগের সংখ্যা ও ভয়াবহতা বহুলাংশে বেড়েছে।সিসমিক জোনে অবস্থিত হওয়ায় এ দেশটি ভূমিকম্পের ঝুঁকিতেও আছে।কার্যপত্রে আরও বলা হয়, দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে রোল মডেল বিবেচিত হলেও ভূমিকম্পসহ অন্যান্য দুর্যোগে পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।এ জন্য আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে দিবসটি উদযাপন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.