প্রতিবছর রোজার আগে দেশের মানুষকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য দিয়ে থাকে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।এবছরও রমজান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০ মার্চ থেকে দেশজুড়ে একযোগে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হচ্ছে।তারই অংশ হিসেবে বান্দরবানেও টিসিবি পণ্য বিক্রির সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।এবার টিসিবির এই পণ্য বিক্রির সার্বিক বিপনন প্রক্রিয়াটি সরাসরি জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌছাতে কাজ শুরু করেছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন।বুধবার (১৬ মার্চ) সকালে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,রবিবার (২০ মার্চ) থেকে সারা দেশের ন্যায় বান্দরবানেও শুরু হচ্ছে ‘ফ্যামিলি কার্ডে’ সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) পণ্য বিক্রি।জেলা প্রশাসক সুত্রে জানা যায়,সারাদেশের ন্যায় বান্দরবানেও সাধারণ মানুষের মাঝে টিসিবি পন্যের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে এবং তাদের চাহিদা পুরনে ১ম পর্যায়ে পণ্য বিক্রি শুরু হবে।প্রথম পর্যায়ে টিসিবি পণ্যের ৩শত ৮৫. ৪৪ মেট্রিকটন যা পুরো জেলায় ৬৪ হাজার ২ শত ৪০ জন পরিবারের কাছে পৌছাতে কাজ করবে জেলা প্রশাসন।১ম পর্যায়ের পণ্য তালিকায় রয়েছে ২ কেজি ডাল,২ লিটার তেল,২ কেজি চিনি।প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা,মসুর ডাল ৬৫ টাকা,সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা নির্ধারণ করে বাজারজাত করা করা হবে।ন্যায্য মূল্যে টিসিবির ২য় ধাপে পণ্য বিক্রি শুরু হবে ২৭ মার্চ।২য় পর্যায়ে ৫শত ১৩.৯২ মেট্রিকটন বিভিন্ন খাদ্য পণ্য বিক্রি করা হবে।এতে প্রথম ধাপের তিনটি পণ্যের সাথে নতুন করে প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে ছোলা যুক্ত হবে।এবিষয়ে,বান্দরবানের জেলাপ্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন,রমজান উপলক্ষ্যে ২০ মার্চ সোমবার থেকে বান্দরবান জেলা জুড়ে ১ম পর্যায়ের টিসিবি পন্য বিক্রি শুরু হবে।ট্রাকসেলের মাধ্যমে তালিকা অনুযায়ী এই পণ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দিতে কাজ করছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার ভিত্তিক চাওয়া ছিলো দেশের সাধারণ মানুষের কাছে ন্যায্য মূল্যে টিসিবির পণ্য পৌছে দেয়া।বান্দরবান জেলা প্রশাসন জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে তালিকা অনুযায়ী এই খাদ্য পণ্য বিক্রি করা হবে।তিনি আরও বলেন,এইক্ষেত্রে ডিলাররা যাতে কোনও অনিয়মে জড়াতে না পারে সেটি বিবেচনায় রেখে জেলা প্রশাসন প্রতিটি ডিলারকে কড়া নজরদারিতে রাখবে।এইক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।টিসিবি সুত্রে জানা যায়,বান্দরবান সদর উপজেলায় ১৪ হাজার ১ শত জন,রোয়াংছড়ি উপজেলায় ৩ হাজার ৬ শত ২১ জন,রুমা উপজেলায় ৫ হাজার ৪ শত ১৯,থানচি উপজেলায় ৪ হাজার ১ শত ৩ জন,লামা উপজেলায় ১৬ হাজার ১শত ৪ জন,আলীকদম উপজেলায় ৯ হাজার ২ শত ২৭ জন এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৯ হাজার ৪ শত ৭৯ জন উপকারভোগী ন্যায্যমূল্যে টিসিবির পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।এক্ষেত্রে তালিকাভুক্তরাই এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।এদিকে বুধবার (১৬ মার্চ) সকালে বান্দরবান খাদ্য গুদামে টিসিবি পণ্য মজুদ,রক্ষণাবেক্ষণ,প্যাকেট জাত প্রক্রিয়া,ওজন সহ সার্বিক বিষয় সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে সার্বিক প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান রুবেল।পরে এই কার্যক্রমে সংযুক্ত হন আরও এক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রবীর বিশ্বাস।সাধারন মানুষ বলছে টিসিবির এই পণ্য কিছুটা হলেও স্বস্তি দিবে।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.