বনে বড় গাছ নাই,ছড়ায় পানি নাই,পাহাড় গুলো সব ন্যাড়া হয়ে যাচ্ছে।বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র থায়াইচাপ্রু ও এলাকায় ছোট ভাই দির্ঘদিন পরে গ্রামে এসে বন পরিদর্শন করতে আসা চিন্তায় পড়েছে।অন্যদিকে উছা ও তার পরিবার জুম চাষের মাঝে মাঝে স্বল্প মেয়াদি ফসল এবং দীর্ঘ মেয়াদি ফসল চাষের কথা ভাবছে। আরো ভাবছে আরণ্যক ফাউন্ডেশন থেকে বিনা মূল্যে চারা এনে লাগিয়ে বন ফিরিয়ে আনার কথা।’আমার বন আমার জীবন’ নামক এমনই এক পথনাট্য উপস্থাপনের মাধ্যমে ২১ মার্চ ২০২২ তারিখে আন্তর্জাতিক বন দিবস উদযাপন করেছে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার স্থানীয় জনগোষ্ঠী।ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে ইউএস ফরেস্ট সার্ভিস কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘কমিউনিটি পার্টনারশিপ টু স্ট্রেনদেন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (কম্পাস) এবং এর সহযোগী সংস্থা আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও তহ্জিংডং।উল্লেখ্য,এ কর্মসূচির আওতায় কমিউনিটির উদ্যোগে আগামী তিন বছরে রোয়াংছড়ির ১০০০ হেক্টর অবক্ষয়িত বনাঞ্চলের বন পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এ কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে এলাকার বন, বন্যপ্রাণীসহ প্রতিবেশ সেবা ফিরে আসবে বলে আশা করা যায়। পথনাটিকাটি মারমা ভাষায় উপস্থাপিত হয়েছে এবং নাটিকার সকল কলা-কুশলী স্থানীয় মারমা সম্প্রদায়ের। এ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার জনাব জাহিদ হাসান।
পথনাটিকায় বন ধ্বংসের পাঁচটি ক্ষতিকর বিষয়ের উপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়।
১-জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি,
২-মাটি ক্ষয় এবং ভূমিধস,
৩-মাটির উর্বরতা এবং ফসলের ফলন হ্রাস করুন,
৪- স্রোতে পানির প্রবাহ হ্রাস (ঝিরি),
৫- বনজ সম্পদের প্রাপ্যতা হ্রাস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো.ফোরকান এলাহি অনুপম। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আথুই মং মারমা,১ নং রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেহ্লা অং মারমা, ৩৪৯নং গ্রাউ মৌজার হেডম্যান শৈ সা অং মারমা সহ উপজেলার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।৩০ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই পথনাটিকায় ছিল নৃত্য ও গান।শিক্ষণীয় এই নাটকটি নারী-পুরুষ,শিশু-কিশোরসহ রোয়ংছড়ি হাটে আসা কয়েক শত মানুষ উপভোগ করে এবং বন রক্ষার জন্য একতাবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গিকার করেন।