বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম মুনলাই পাড়ার পাহাড়ি এলাকায় সশস্ত্র সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এর আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে সেনাবাহিনী।বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো জানা যায়,গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি অপারেশন দল মুনলাই পাড়া এলাকায় কেএনএ’র বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।তাদের অবস্থানের উপর অভিযান পরিচালনা করলে সন্ত্রাসীরা তাদের অস্ত্র-সরঞ্জামাদি ফেলে পালিয়ে যায়।এ সময় উক্ত এলাকা তল্লাশি করে ১টি এসএমজি (ম্যাগাজিনসহ),২টি গাঁদা বন্দুক (১৫৯ রাউন্ড কার্তুজ ও ১টি কার্তুজ ভর্তি বেল্ট),১টি বাইনোকুলার, ২টি ওয়াকিটকি সেট,৩ জোড়া কেএনএ ইউনিফর্ম,১ জোড়া বুট,১টি হ্যান্ডকাফ, ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আই ই ডি) তৈরিতে ব্যবহৃত স্প্লিন্টার ও ৫টি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করা হয়।এসময় পুরো আস্তানাটি ধংস্ব করে দেয় সেনা সদস্যরা।
২০২০ সাল থেকে পার্বত্য জেলার বম জনগোষ্ঠীর কিছু বিপথগামী যুবক কেএনএফ সশস্ত্র সংগঠন গড়ে তোলেন।তাদের সশস্ত্র কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ায় তাদের নির্মূলে ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত,গত ২ ও ৩ এপ্রিল জেলার রুমা ও থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি, পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র লুট,ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ ও অর্থ লুটের ঘটনায় রুমা থানায় ১৪,থানচি থানায় ৪,রোয়াংছড়ি থানায় ৩ ও সদর থানায় ১টিসহ মোট ২২টি মামলা করা হয়। যৌথবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের ১২০ জন সদস্য ও সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় কেএনএফ ১৪ সদস্যের মরদেহ পাওয়া গেছে।