দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি,কমিটি বানিজ্য,অনৈতিক কার্যক্রম,বিবাহিত তকমা নিয়ে ছাত্রদলকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন বান্দরবান জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল আমিন ফরহাদ ও সেক্রেটারি অমিত তঞ্চঙ্গ্যা।এবার শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এই দুই বিবাহিত ছাত্রনেতার পদ স্থগিত করে ঢাকায় তলব করেছে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ।
বুধবার (১ জুন) ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আজিজুল হক সাক্ষরিত একটি পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।একই পত্রে বান্দরবান পৌর ছাত্রদলের কমিটি বহাল রেখে ৭ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর উপস্থিতিতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।জানা যায় মঙ্গলবার (৩১ মে) বান্দরবান পৌর ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা ছাত্রদল।
এই ঘটনা জানাজানি হলে বিষয়টি নজরে আসে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের।পরে তাৎক্ষণিক পৌর ছাত্রদল এর ঘোষিত কমিটি কে বহাল রেখে বান্দরবান জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর পদ স্থগিত করে তাদেরকে ঢাকায় তলব করে স্বশরীরে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য,দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদল সভাপতি পরিচয়ে সরকার সমর্থিত নেতাদের সাথে ঐক্য করে ঠিকাদারি ব্যবসা চালানোর অভিযোগ রয়েছে আশরাফুল আমিন ফরহাদের বিরুদ্ধে।নানা সময়ে ছাত্রদলের এই সভাপতিকে বান্দরবান জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বান্দরবানের ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে স্বরণ কালের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যর্থ একজন ছাত্রসংঠক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।সরকার বিরোধী আন্দোলনে ভূমিকাহীন এই সভাপতি কে দিনের পর দিন কিভাবে কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতারা জেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সভাপতি পদে আসীন করে রাখলো তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছে।
মূলত বান্দরবান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র জাবেদ রেজার আশীর্বাদ নিয়ে জেলা সভাপতির গুরুত্বপূর্ণ পদটি বাগিয়ে নিয়েছিলো।কমিটি গঠনের পরপরই সে বিতর্কিত জেরী সমর্থকদের সাথে ঐক্য গড়ে তুলে।পরে সরকার বিরোধী আন্দোলনে চরম ব্যার্থতার পরিচয় দেয় বলে জানিয়েছে বান্দরবান জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।তাঁরা বলছে আশরাফুল আমিন ফরহাদ গত চার বছরে ছাত্রদলকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করা ছাড়া আর কিছু দিতে পারেনি।ছাত্রদলকে বলয় স্বার্থে পেছন থেকে টেনে ধরা ছাড়া কিছুই করতে পারেননি।
যদিও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি পরে মুঠোফোনে ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তলব করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অমিত তঞ্চঙ্গ্যা।তিনি বলেন,কেন্দ্র ডেকেছে এবং এককথায় বললাম আমরা যাবো।তবে সভাপতি আশরাফুল আমিন অনৈতিক কোনও কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হলে এর দায়ভার দল বহন করবে না উল্লেখ করে তিনি যুক্ত করেন,কাজকর্ম না করলে আমরা চলবো কিভাবে।
এদিকে যে কমিটি বিলুপ্ত নিয়ে পদ স্থগিত হলো দুই ছাত্র নেতার সেই কমিটি বহাল রাখায় বহালকৃত কমিটির নেতাকর্মীরা ফেসবুকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে।সদস্য সচিব কাওসার হোসেন বলেছেন,কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ ছাড়া এইভাবে কমিটি বিলুপ্ত করার সুযোগ নাই।কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে আমরা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত আনন্দিত।