সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-জঙ্গি তৎপরতায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে একসময়ে গ্রেফতার হওয়া বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মোহাম্মদ শফিউল্লাহকে নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ ওঠায় উপজেলার তৃণমূল নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ।বিশেষ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মো.ইসমাইলের মৃত্যুর ঘটনায় মোহাম্মদ শফিউল্লাহ অভিযুক্ত হওয়ায় এ নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে বইছে আলোচনার ঝড়।পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপিও ক্ষুদ্ধ হয়েছেন শফিউল্লার কর্মকাণ্ড নিয়ে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মো.ইসমাইলের পরিবার তার মৃত্যুর জন্য শফিউল্লাহকে অভিযুক্ত করেছেন।পুলিশ অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।গত রোববার কক্সবাজারের লালদিঘির পাড় এলাকার একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে পুলিশ নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মো.ইসমাইল হোসেনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে।তবে ইসমাইল হোসেন মৃত্যুর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া তার একটি স্ট্যাটাসে মোহাম্মদ শফিউল্লাহকে অভিযুক্ত করেছেন।স্ট্যাটাসটি দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই হোটেল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার পুলিশ।মো.ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেছেন, আত্মহত্যা নয় এটি পরিকল্পিত হত্যা।সোমবার নাইক্ষ্যংছড়িতে লাশের জানাজা পড়ার সময় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার জিহাদ মো.ইসমাইলের মৃত্যুর জন্য শফিউল্লাহকে দায়ী করেছেন।পরিবারের সদস্যরা জানান,শনিবার রাতে মো.ইসমাইল হোসেন তার ফেসবুকে শফিউল্লাহকে দায়ী করে একাধিক স্ট্যাটাস দেন।রাজনীতিতে তার জীবন দুর্বিষহ করে তোলার জন্যও শফিউল্লাহকে দায়ী করেছেন ইসমাইল।এদিকে উপজেলার স্থানীয় নেতা-কর্মীরা এসব বিষয় জেলা নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছেন।প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপিও খোঁজ খবর নিচ্ছেন শফিউল্লাহ সম্পর্কে।আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৪ সালে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ের একটি আবাসিক হোটেল থেকে পুলিশ জঙ্গি সন্দেহে নাইক্ষ্যংছড়ির আওয়ামী লীগ নেতা মো.শফিউল্লাহসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে।সে সময় শফিউল্লার সাথে যারা গ্রেফতার হয়েছিলেন তারা হলেন-পাকিস্তানের করাচির নাগরিক মো.আলম,মো.আমিন,আবদুল মজিদ ও কক্সবাজারের জামায়াত নেতা ছালামত উল্লাহ।এদের মধ্যে ছালামত উল্লাহ ও মো.শফিউল্লাহ মায়ানমারের আরাকান রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরএসও'র সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ছিল গোয়েন্দাদের কাছে।সে সময় গণমাধ্যমে শফিউল্লাহকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় আওয়ামী লীগে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়।তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি ওঠে।২০০২ সাথে শফিউল্লাহ উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও পরবর্তীতে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব নির্বাচিত হন।উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে জামায়াত নেতা তোফায়েল আহম্মদের সাথে পরাজিত হন তিনি।বর্তমানে উপজেলা কাউন্সিলে সভাপতি প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন এ নেতা।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায় উপজেলা কমিটির নেতৃত্ব নিয়ে শফিউল্লাহর সাথে মো.ইসমাইলের দীর্ঘদিন থেকে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।হঠাৎ করে কাউন্সিলের আগেই মো. ইসমাইলের মৃত্যু ভাবিয়ে তুলছে নেতা কর্মীদের।জেলার সিনিয়র নেতারা শফিউল্লাহর বিষয় নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন।বর্তমান উপজেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মো.ইমরানের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান শফিউল্লাহর বিষয়গুলো নিয়ে নেতা কর্মীরা প্রশ্ন তুলছে এটি ঠিক। উপজেলার নেতারাও বিব্রত।তবে একটি মহল শফিউল্লাহকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।জেলা নেতৃবৃন্দকে বিষয়গুলো জানানো হয়েছে।এ বিষয়ে মো.শফিউল্লাহর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান,ইসমাইলের মৃত্যুর সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।এমনকি জঙ্গিবাদের সাথেও তাকে অহেতুক জড়ানো হয়েছে।কোনোভাবেই অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়নি।একটি কুচক্রীমহল নানাভাবে তার সম্মানহানি করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।(((পরিবর্তন.কম)))
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.