বিএনপির প্রতীক হলো ধানের শীষ।নির্বাচন এলেই ধানের শীষের প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্যে ঝাঁকে ঝাঁকে নেতার আবির্ভাব ঘটে। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট ব্যানারের নামে এক ঝাঁক নেতা ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হন।বিএনপির তিনশ প্রার্থীর মধ্যে বাংলাদেশের সর্বশেষ সংসদীয় আসন বান্দরবান জেলার প্রার্থী ঘোষণা করা হয় রাজার ছেলে সাচিং প্রু জেরীকে।করোনায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখায় ঘরে বসে থাকা নিম্ন আয়ের মানুষকে ত্রাণ দেয়ার জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় আহবানে সাড়া দেয়নি ধানের শীষের প্রার্থী জেরী।বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেদের মতো করে ছন্নছাড়া অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন।
ত্রাণ পাওয়া তো তাদের জন্য ভাগ্যের ব্যাপার।বিএনপি কর্মীরা বলছেন সরকার বিরোধী যেকোনও মিছিল মিটিং সফল করতে সাচিং জেরী এবং তাকে ঘিরেধরা নেতাদের ফোন পেয়ে খেয়ে না খেয়ে আমরা কর্মসূচি সফল করি।আজকে যখন অঘোষিত লকডাউনের দেড় মাস হতে চলল তখন তাদেরকে ফোন দিলে তারা ফোনও ধরেনা।জেলায় বসবাসরত তৃণমূল নেতাকর্মীদের এমন ত্রাহি অবস্থায় সাচিং প্রু জেরীরও কোনও খবরই নাই।শুধু তাই নয় কয়দিন আগে যে যুবদল সভাপতি হারুন আর শিমুলের জন্য আমরা রাস্তায় নেমেছি,পুলিশের পিটুনি খেয়েছি এই দুই নেতাও গায়েব হয়ে গেছেন,কোথাও তাদের দেখা নেই।কার কাছে যাব।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কাউন্সিলর এর কাছে গেলাম তিনি সোজা রাজবাড়ির রাস্তা দেখিয়ে দিলেন।
এরচেয়েও বড় অপমান আর কি থাকতে পারে।দলের আহবানে এবং দলের প্রয়োজনে বিএনপির পরীক্ষিত তৃণমূল নেতারা যেকোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি তে এগিয়ে এলেও দেশের ক্রান্তিকালে নির্বাচনের সময় বসন্তের কোকিল খ্যাত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জেরী উত্তর কোরীয় শাষক কিম জং উন এরমত লোক চক্ষুর অন্তরালে হাওয়া হয়ে যেতে উস্তাদ।অনেকে বলছেন তিনি শুধু এইক্ষেত্রে নয় ঈদে পরবেও এভাবে হাওয়া হয়ে যান।ছিন্নমূল নেতাকর্মীরা তাকে খুজেঁ পায় না।তাঁর আশেপাশে ঘিরে থাকা প্রভাবশালী নেতাদের অধিকাংশেরই দেখা নেই।দলটির নেতাকর্মীদের অভিযোগ নির্বাচন এলেই প্রার্থী হওয়ার জন্য বান্দরবান থেকে জেরী আর ম্যামাচিং হুমড়ি খেয়ে পড়েন।কিন্তু দেশ,দেশের মানুষ,দল ও দলের নেতাকর্মীদের সঙ্কটে,দুঃখ-দুর্দশায় তাদের বেশিরভাগকে হ্যারিকেন এর আলো দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় না।এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গত দেড় মাস সময় ধরে সাচিং প্রু জেরীর অন্তরালে চলে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপির শতশত ফেসবুক ব্যাবহারকারী,সাচিং জেরী কেনও দলীয় নেতাকর্মীদের সহায়তা করছেন না এটাও তাদের প্রশ্ন।তবে অসমর্থিত কিছু কিছু সুত্র গোয়ালিখোলা,রোয়াংছড়ি এবং আজিজনগরের মতো কিছু এলাকায় সাচিং প্রু জেরীর নির্দেশে সেখানকার স্থানীয় নেতাকর্মীরা কিছু ত্রান দিয়েছেন বলে শোনা যায়।
সাচিং প্রু জেরী এক কেজি চাল হলেও নেতাকর্মীদের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারলেননা কেনও কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন নেতাকর্মীরা এবং বিবর্ন এই ধরনের নেতাদের পেছনে নেতাকর্মীরা কেনও সময় দিলেন তা নিয়েও হা হুতাশ করছেন।অন্য দিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা, জানিয়েছেন আমরা রাজনৈতিক ভাবে নেতাকর্মীদের যতটুকু সম্ভব খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি।এ ধারা চলমান থাকবে,বিভিন্ন উপজেলা গুলোতে কাজ চলছে।এদিকে বান্দরবান জেলা সেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হায়দার বাবলু দলীয় নেতাকর্মীদের দুঃখ দুর্দশার কথা চিন্তা করে কিছু নেতাকর্মীকে কয়েকদিন আগে খাদ্য সামগ্রী উপহার দিয়েছেন।
এবিষয়ে জানতে জেলা বিএনপি নেতা মুজিবুর রশীদের মোবাইল ফোনে কল করা হলে কল টি তিনি রিসিভ করেন নাই।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.