বান্দরবানে সরকার বিরোধী লিফলেট বিতরন ও পোস্টারিং এর দায়ে ৭ শিবির কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে শহরের আর্মি পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।আটককৃতরা সবাই বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র বলে জানা যায়।পুলিশ জানায়,বেশ কিছু দিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় সরকার বিরোধী পোস্টার লাগানো,চাঁদা আদায় ও লিফলেট বিতরন করে আসছিল শিবির কর্মীরা।এমন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে আর্মি পাড়া এলাকায় অভিযান চালায় বান্দরবান সদর থানার পুলিশ।এসময় দুটি ভবনে অভিযান চালিয়ে শিবিরের ৯ কর্মীকে আটক করে পুলিশ।পরে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন চাঁদা আদায়ের রশিদ,বিভিন্ন বই ও সরকার বিরোধী লিফলেট পাওয়া যায়।আটকৃতরা জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও বাইরের জেলার শিক্ষার্থী।তারা শহরের আর্মি পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে পড়াশোনা করত।
আটককৃতরা হলেন-বান্দরবান সরকারি কলেজ ছাত্রশিবির কর্মী মুক্তার হোসেন (২১),জাকের উল্যাহ (২৫),কক্সবাজার জেলার রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন ছাত্র শিবির কর্মী কলিম উল্লাহ (২৪),ছাত্র শিবির সমর্থক মোঃ ফরহাদ (১৭),আব্দুল্লাহ আল নাঈম (১৮),আমজাদ মাহাবুব রিফাত (১৮),ইমরান হাসান আসিফ (১৮),কলিম উল্লাহ (২২),মোঃ হাসান সোহেল (২৩)।তারা সবাই বান্দরবান,কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলার বাসিন্দা।জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়,অভিযান পরিচালনাকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল ও তার আশেপাশে বিভিন্ন স্থানে অবস্থানকারী মো.মূছাসহ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।যাদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান চলমান রয়েছে।গ্রেফতারকৃত আসামীদের হেফাজত হতে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়ষন্ত্রমূলক পোস্টার,পোস্টার লাগানের আঠা,লিফলেটসহ উস্কানীমূলক বিভিন্ন ধরণের বই ও অন্যান্য আলামত উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীগণ সহ অন্যান্য পলাতক আসামীগণ বান্দরবান জেলার জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এবং বিএনপির উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা মতে নাশকতা সৃষ্টি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রসারিত করার উদ্দেশ্যে বর্ণিত স্থানে অবস্থান করে বাংলাদেশের অখণ্ডতা,সংহতি,জননিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্রিন্টেড পোস্টার লাগাচ্ছিলো।ষড়যন্ত্রমূলক বিভিন্ন ধরনের ভ্রান্তিমূলক তথ্য ও গুজব প্রচারের উদ্দেশ্যেই আটকরা সমবেত হয়েছিলো মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।উক্ত বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।