বান্দরবানের লামা অন্তর্গত সরই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীর বড় ছেলে মো.আলমগীর (৪২) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় সরই ইউনিয়নের পূর্ব হাসনাভিটা এলাকার ফাতেমা দরগাহ নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা ও সরই ইউপি চেয়ারম্যান মো.ফরিদ উল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।লামা থানার অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন,সংবাদ পাওয়া মাত্র আমরা ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি।ঘটনাস্থলে সরই পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা উপস্থিত রয়েছে।সরই ইউপি চেয়ারম্যান মো.ফরিদ উল আলম মুঠোফোনে বলেন,আমি এখন ঘটনাস্থলে রয়েছি।লাশ স্পটে পড়ে আছে।লামা থানা পুলিশের অপেক্ষায় আছি।নিহত আওয়ামীলীগ নেতা আলমগীর তার আমির হামজা পাড়াস্থ মাছের প্রজেক্ট ও বাগান থেকে বাড়িতে ফিরছিল।যাত্রা পথে দুর্বৃত্তরা তাকে হামলা চালিয়ে হত্যা করে।তিনি আরও বলেন,ঘটনাস্থলে আমরা বাজাজ এপাসি মডেলের সাদা রং এর একটি মোটরসাইকেল পেয়েছি।এই গাড়িটি হত্যাকারীদের হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।গাড়িটির নাম্বার চট্টমেট্রো-হ ১৪-৮১৪১।সরই পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.কাসেম আলী বলেন,আমরা ঘটনাস্থলে আছি।এখানে এখন শত শত মানুষ ঘটনাস্থলে এসে ভিড় করেছে।খুনের মোটিভ দেখে এইটিকে একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে।তবে তদন্ত না করে নিশ্চিত করে কিছু বলার সুযোগ নেই।জানা গেছে,আলমগীর সিকদারের পিতা মোহাম্মদ আলী সরই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এবং লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।বর্তমানে তিনি স্বস্ত্রীক হজ্বব্রত পালনার্থে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।৪২ বছর বয়সী আলমগীর সিকদার তিন সন্তানের জনক।তার স্ত্রী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন।তবে কী কারণে এমন নৃশংসা ঘটনা ঘটলো তা কেউ বলতে পারছে না।প্রসঙ্গত,গত সোমবার (২২ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে রোয়াংছড়ির তারাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মং মং থোয়াই মারমাকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা হত্যা করেন।এছাড়া চলতি বছরের ২২মে বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে চথোয়াইমং মারমাকে বালাঘাটার চড়ুইপাড়া এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং নৃশংসভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।এছাড়া গত ৭ মে সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির কর্মী বিনয় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে।অপহরণ করা হয় ফোলাধন তংচঙ্গা নামের অপর কর্মীকে।এখনও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।এইভাবে একের পর টার্গেট কিলিং চলতে থাকায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।