সম্পতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোষ্ট নিয়ে বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলায় চলছে তুমুল আলাচেনা/সমালোচনা (পোস্টটির Link)। বান্দরবানের সাম্প্রতিক সংঘটিত হত্যাকান্ডসমূহ এবং এর সাথে জনসংহতি সমিতির সভাপতি জোতিন্ড বোধপ্রিয় লারমা অথবা সন্তু লারমার সংশ্লিষ্টতা ও তার সুদূরপ্রসারী নীল নকশার বিষয়টি উল্লেখ্য করা হয় এ পোস্টে। ইতিমধ্যেই এই পোস্টটি একাধিক আইডি হতে শেয়ার করা হয়েছে এবং কমেন্ট/কাউন্টার কমেন্টের বন্যা বয়ে যাচ্ছে পোস্টটিতে। জেএসএস এর অন্ধভক্ত ও সমর্থকরা এটিকে সেনাবাহিনী/গোয়েন্দা সংস্থার কাজ, তাদের তৈরী ফেক আইডি হতে প্রচারণা ইত্যাদি মন্তব্য করছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে কাজ করছে এক ধরণের আতংক ও উৎকণ্ঠা। বান্দরবান সবসময়ই শান্তিপ্রিয় একটি জেলা। পার্বত্য চট্রগ্রামের একটি অংশ হয়েও এখানে খুন, অপহরণ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সীমিত পর্যায়ে ছিল। তবে বিগত উপজেলা নির্বাচন ২০১৯ হতে একেরপর এক হত্যা, অপহরণ, গুম ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটতে থাকে ”সম্প্রীতির বান্দরবান” নামে খ্যাত এ জেলায়। ঘটনাসমূহ পর্যালোচনায় দেখা যায় নিহতের অধিকাংশই পাহাড়ী এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এদের মধ্যে অনেকেই আবার জনসংহতি সমিতি বা এর অঙ্গ সংগঠন হতে রেরিয়ে এসে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। আবার একথাও সত্য যে বান্দরবানে জনসংহতি সমিতি ব্যতীত অন্যকোন আঞ্চলিক দলের কর্মকান্ড বা উপস্থিতি ছিল না। বহুবছর ধরে এই আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে। বলতে গেলে নিজ কর্মদক্ষতা, পরিশ্রম, উন্নয়ন কর্মকান্ড সর্বোপরি গণমানুষের সমর্থন নিয়ে এই আসনটিকে আওয়ামী লীগের দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিনত করেছেন বীর বাহাদুর। তৃণমূল পর্যমত ছড়িয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম, সুদৃঢ় হচ্ছে এর ভিত্তি। যার সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে উপজেলা নির্বাচনসহ সকল স্থানীয় সরকার নির্বাচনে। জেএসএস দীর্ঘদিন ধরে এখানে কর্মকান্ড পরিচালনা করলেও নেতৃত্বের দুর্বলতা তথা ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদার নামে সাধারণ মানুষকে অপহরণ, নির্যাতন এবং সর্বোপরি জনবিছিন্নতার কারণে কখনোই বান্দরবানে সুবিধাজনক অবস্থান তৈরী করতে পারেনি। রাজনৈতিক হতাশা আর দেউলিয়াপনা থেকে এ ধরণের কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন সন্তু লারমা, এই ধারণা অধিকাংশ রাজনৈতিক বিশ্লেষকের। বাঙ্গালী ও মার্মা অধ্যুষিত এই বান্দরবানের জনসাধারণ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের তথা জীবনমুখী কর্মকান্ডের প্রতি আস্থাশীল। শান্তিচুক্তির বাস্তবায়নে ও অগ্রগতিতে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও আন্তরিকতার প্রতি পূর্ণ আস্থাবান পার্বত্যবাসী তথা বান্দরবানের আপামর জনসাধারণ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সন্তু লারমার বিচারের দাবী জানিয়ে রক্তিম চাকমা লিখেছেন, যে বা যারা আমাদের সম্প্রতির বান্দরবান কে এমন মহামারী সময়ে এভাবে মানুষ হত্যার কাজ করতে পারে সেই কখনো মনুষ্য জাতির কেউ হতে পারে না। আমরা সব সময় শান্তিকে থাকতে চাই বন্ধ করুন রক্তের এই হোলি খেলা। প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি। যেহেতু এই হত্যা কান্ড থেকে প্রমাণিত হয় সন্তু লারমার দ্বারা এই হত্যা কান্ড সংঘঠিত হয়েছে, সেহেতু আমি এক জন সাধারণ জনগণ হিসেবে দেশ ও জাতির নিরাপত্তার স্বার্থে এই পাহাড়ী সন্ত্রাসী সন্তু লারমার বিচার দাবী করছি।
অন্যদিকে স্যোসাল মিড়িয়াতে কেরামত আলী ফয়সাল লিখেছেন ,করোনার এই সময়ে কোন স্থানে তো সন্তু লারমার কোন সামাজিক কার্যক্রম সাধারণ মানুষের জন্য ছিল না সেখানে কেন এই রক্তের হোলি খেলায় মেতেছেন তিনি । কি এমন লাভ? বান্দরবানের সম্প্রীতি কে অসম্প্রীতি তে পরিণত করে। আমরা সাধারণ জনগণ আমরা সব সময় শান্তি চাই! দয়া করে সন্তু লারমা আপনি বন্ধ করুন এসব ,না হয় আমরা সাধারণ জনগণ এবার রাজপথে আসতে বাধ্য হবো।
ড কি উ মারমা লিখেছেন, এতোদিন জানতাম সন্তু লারমা পাহাড়ী মানুষের জীবন মান রক্ষাতে কাজ করে । এসব ভুল জেনেছি । তিনি একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী । যে নিজের স্বার্থের জন্য আমাদের শান্ত ও সম্প্রীতির বান্দরবান নিয়ে নীল নকশা করেছেন। আমি একজন পাহাড়ী মেয়ে হয়ে তার বিচার দাবী করছি।
পর্যটন শিল্পসহ সকল ক্ষেত্রে বান্দরবান তার উন্নতির স্বাক্ষর রেখেছে। সরকারের অবকাঠামোসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল নিয়ে মানুষ তার জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীতে এসে পশ্চাৎপদতা আর অন্ধকারের যে তথাকথিত রাজনীতি জনাব সন্তু লারমা শুরু করেছেন তা এ অঞ্চলের মানুষ বহু আগেই প্রত্যাখান করেছে। এখনও যদি জনাব সন্তু লারমা সংশোধন না হন, হত্যা/গুম/অপহরনের সন্ত্রাসী রাজনীতি বন্ধ না করেন তবে প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে তিনি ইতিহাসের আস্তাকুড়ে পতিত হবেন। সকলে তার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সষ্ট্রার কাছে এই প্রার্থনা করি। প্রার্থনা ক