সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-বাংলাদেশের মোট ভূ-খণ্ডের এক দশমাংশ নিয়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম।সর্বশেষ জরীপ অনুযায়ী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা রাংগামাটি,বান্দরবন আর খাগড়াছড়িতে প্রায় ১৬ লক্ষ মানুষের বসবাস।এর মধ্যে শতকরা ৫১ ভাগ উপজাতি আর ৪৯ ভাগ বাংগালী।উপজাতীয়দের মধ্যে আছে চাকমা,মারমা,ত্রিপুরা,বম,লুসাই,চাক,তঞ্চংগ্যা,খুমি,খেয়াং,পাংখোয়া,ম্রো সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী।নৃতাত্ত্বিক তথ্যমতে,১৬ শতকের দিকে উপজাতিরা পার্বত্য চট্টগ্রামে আগমন করে।তাদের মধ্যে কিছু আরাকান রেঞ্জ,কিছু তিব্বত ও চীন থেকে এবং অন্যরা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও মায়ানমার থেকে এই এলাকায় প্রবেশ করে বসবাস শুরু করে।তাদের সকলের ভাষা,সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ভিন্ন ভিন্ন।তাদের এই সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ সরকার বেশ যত্নশীল।এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে সর্বপ্রথম তাদেরকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। সংবিধানের ২৩ক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, “রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র-জাতিসত্তা,নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্টপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ,উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন”।এ লক্ষ্যে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি জনগোষ্ঠীর জীবন যাপনের মান উন্নয়নের নিমিত্তে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কল কারখানা নির্মাণ,কারিগরী প্রশিক্ষণ প্রদান,শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে ৫% রিজার্ভ কোটা প্রদান,স্কুল-কলেজ নির্মাণ,রাস্তাঘাট নির্মাণ এবং টেলি যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।এমনকি সরকার উপজাতিদেরকে কর প্রদানের আওতামুক্ত রেখেছে।কিন্তু উপজাতিরা সরকারের এই সমস্ত উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করলেও তারা তা স্বীকার করতে চায় না।বরং প্রতিনিয়ত তারা বাংলাদেশ সরকার,পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনী এবং এখানে বসবাসরত বাংগালীদেরকে জড়িয়ে সর্বদা মিথ্যা,বানোয়াট,বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে থাকে।তাদের এ সমস্ত মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের ফলে দেশে বিদেশে সরকার ও নিরাপত্তাবাহিনী তথা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে উপজাতিরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বিশেষতঃ ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।এমনকি তাদের এই মিথ্যা প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে সুলতানা কামাল,মেজবাহ কামাল, রুবাইয়াত ফেরদৌস,হানা শামস,স্বপন আদনান, ড.মিজানুর রহমান এবং ইমতিয়াজ মাহমুদের মত কতিপয় স্বার্থান্বষী তথাকথিত বুদ্ধিজীবিরাও।উপজাতিদের এ সব মিথ্যা প্রচারণা আর বুদ্ধিজীবীদের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি প্রক্রিয়া ব্যহত হচ্ছে।পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংগালী-উপজাতিদের মধ্যে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরীর নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে।এ প্রেক্ষিতে সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত সেনাবাহিনী,পুলিশসহ সকল নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে নিবেদন এই যে,পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির পরিবেশ নষ্টের পাঁয়তারাকারী এ সমস্ত মিথ্যা,বানোয়াট আর বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদানকারীদেরকে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় নিয়ে এসে সঠিক শাস্তি প্রদান করা হোক।আমরা পার্বত্যবাসী শান্তি সেটাই চাই।আমাদের একটাই শ্লোগান-“বাংগালী-উপজাতি সকলের অবদান
সম্প্রীতির পার্বত্য চট্টগ্রাম”।লিখেছেনঃ-(সন্তোষ বড়ুয়া, রাঙ্গামাটি থেকে;পার্বত্য নিউজ)
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.