আট দফায় বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।নিরাপত্তার কারণে আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত এ দুটি উপজেলায় পর্যটকরা ভ্রমণ করতে পারবেন না।
রোববার (২০ নভেম্বর) বিকেলে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত একটি গণবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
আটবারের মতো আবারোও বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত একটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বান্দরবানের রুমা এবং রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে আগামী ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসন।
১৮ অক্টোবর থেকে বান্দরবানের দুই উপজেলায় পর্যটকদের নিষেধাজ্ঞা শুরুর পর থেকেই বান্দরবান জেলা পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে এবং বেকার সময় কাটাচ্ছে জেলার হোটেল-মোটেল ও পর্যটকবাহী যানবাহনসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
গত ১০ অক্টোবর থেকে বান্দরবান জেলার রুমা-রোয়াংছড়ি, থানচি এবং আলীকদম উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যৌথবাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু হয়। সাঁড়াশি অভিযানে নিরাপত্তা বিবেচনায় পর্যটকদের ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করে বান্দরবান জেলা প্রশাসন।
প্রথমে ১৮ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয় বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায়। পরে ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত থানচি ও আলীকদম দুটি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে আবার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জেলা প্রশাসন।
এরপরে ৩০ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার সময় বাড়ানো হয়। পরে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ৪ নভেম্বর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বান্দরবানের ৪ উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়। এরপর ৮ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত বান্দরবান জেলার রুমা-রোয়াংছড়ি, থানচি এই ৩টি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয় জেলা প্রশাসন।
এরপরে ১২ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত ছয় দফায় রুমা, রোয়াংছড়ি এবং থানচি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়। সপ্তম দফায় ১৬ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়।