সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-কাপ্তাইয়ে অবস্থিত নৌবাহিনী ঘাঁটি সংলগ্ন পাহাড় ঘেরা কাপ্তাই লেক পরিবেস্টিত লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটে ভাসমান রেস্টুরেন্ট নির্মাণ করেছে নৌ বাহিনী।ভাসমান এই রেস্টুরেন্টে পছন্দের যাবতীয় খাবারের পাশাপাশি বাড়তি আনন্দ হিসেবে পাওয়া যাবে ভ্রমণ ও বিনোদের অফুরন্ত সুবিধা।প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই রেস্টুরেন্টে পানাহার করা যাবে।লেক প্যারাডাইসে এসে সুসজ্জিত আকর্ষনীয় সিঁড়ি ভেঙ্গে অনেক গভীরে নামলে ভাসমান রেস্টুরেন্টে উঠাযাবে।চারদিকে মনোরম ও প্রাকৃতিক পরিবেশ থাকায় অনেক সিঁড়ি বেয়ে উঠানামা করলেও কারো কাছে ক্লান্তি অনুভব হয়না।বরং লেকের মাঝখানে অবস্থিত রেস্টেুরেন্টে যেতে মন আনচান করবে সবার। রেস্টুরেন্টের ভেতরটা যেমন আকর্ষনীয় তেমনি এর ছাদে উঠলে পার্যটকদের কাছে আকর্ষণ বহুগুণে বেড়ে যাবে। অবশ্য ইচ্ছা করলেই যে কেউ যখন তখন ভাসমান রেস্টুরেন্টে যাতায়াত করতে পারবেন না।এর জন্য অনুমতি নিতে হবে।ভাসমান রেস্টেুরেন্ট ও লেক প্যারাডাইসের সর্বত্র যাবতীয় নিরাপত্তায় সার্বক্ষনিক নজরদারি করে নৌ বাহিনী।একবার যিনি এই ভাসমান রেস্টুরেন্ট ভ্রমণ করবেন তিনি আবার এখানে আসার জন্য উদগ্রীব থাকবেন একথা অনায়াশে বলা যায়।পর্যটকরা ইচ্ছা করলে কাপ্তাই লেকে সাঁতার কেটে সময় কাটাতে পারেন। প্যাডেল বোটে চড়ে যে কেউ লেক ভ্রমণ করতে পারেন।দল বেঁধে কাপ্তাই লেকে নৌ বিহার করার সুযোগও রয়েছে এখানে।লেক প্যারাডাইসের চতুর্দিকে ছোট বড় অসংখ্য পাহাড় আর অসংখ্য গাছগাছালি পরিবেস্টিত এই বিনোদন কেন্দ্র পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষনীয় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। দুর দুরান্ত থেকে বহু পর্যটক এখানে ভ্রমণে আসেন বলে বিনোদন কেন্দ্র সুত্রে জানা গেছে।বানৌজা শহীদ মোয়াজ্জম নৌ ঘাঁটি পরিচালিত লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটটি বিশাল এলাকা জুড়ে গঠিত।পৃথক পৃথক স্থানে পৃথক নামে প্রায় ২০টি বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে লেক প্যারাডাইসে।এর যে কোন একটি স্পট ভাড়া নিয়ে যে কেউ ভ্রমন বিনোদন ও আনন্দ করতে পারেন। লেক প্যারাডাইসের অন্যতম আকর্ষন হলো পর্বতিয়া গ্রীণহল স্পটটি। এই পর্বতিয়া গ্রীণহলে খেলাধুলা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,বিনোদন ও আলোচনা করার সব রকম সুযোগ সুবিধা রয়েছে।এই বিনোদন কেন্দ্রের যেখানেই যাবেন পাবেন অনাবিল শান্তি।একা, নব দম্পতিসহ,প্রিয় বন্ধু নিয়ে,দল বেঁধে যেভাবেই এখানে আসবেন পাওয়া যাবে নির্মল আনন্দ।লেক প্যারাডাইসে একসাথে পাঁচ হাজার পর্যটকের বিনোদনের সুযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।ছোট বড় পাঁচ শতাধিক গাড়ি পার্কিংয়ের সুযোগ রয়েছে লেক প্যারাডাইসে।নারী পুরুষের জন্য পৃথক টয়লেট ব্যবস্থার পাশাপাশি এখানে রাত্রী যাপনেরও নিরাপদ সুযোগ রয়েছে। আরামদায়ক ‘বনকুটির’ বিশ্রামাগারে রাত্রী যাপনের পাশাপাশি এখানেও পছন্দের সুস্বাদু খাবার দাবারের সুব্যবস্থা রয়েছে।কাপ্তাই প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী মোশাররফ হোসেন জানান,দুর দুরান্ত থেকে প্রতিদিন বুপল সংখ্যক পর্যটক এখানে ভ্রমণ করতে আসেন। যারা একবার এর সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন তিনি আবার এখানে আসতে চান।সরে জমিন পরিদর্শনে ধেখা গেছে লেক প্যারাডাইসের বিশাল গাছে উঠে বসার জন্য রয়েছে আকর্ষনীয় ব্যবস্থা রয়েছে। লেকের উপর খাড়া পাহাড়ের ফাঁকে আস্তে আস্তে সুর্য অস্ত যাবার মনোরম দৃশ্য দেখার যে ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে অনেক পর্যটককে ভিড় করে সুর্যাস্ত উপভোগ করতে দেখা যায়। স্কুল, কলেজ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আগত পর্যটকরা ইচ্ছা করলে লেক প্যারাডাইসের নির্দৃষ্ট স্থানে নিজেরা রান্না করে খেতে পারেন। আবার বিনোদন কেন্দ্রকে অর্ডার দিলে তারাও চাহিদানুযায়ী পছন্দের খাবারের ব্যবস্থা করে দেয় বলে জানা গেছে। এই বিনোদন কেন্দ্রে সার্বক্ষনিক পর্যাপ্ত সুপেয় পানির ব্যবস্থা রয়েছে। শিশু কিশোর, ছাত্র ছাত্রী, যুবক, বৃদ্ধ যে কেউ বছরের যে কোন সময় এখানে ভ্রমণে এসে অনাবিল আনন্দ পাবেন।চোখ জুড়ানো লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটে আসতে হলে চট্টগ্রামের বহদ্দার হাট বাস টার্মিনাল থেকে শাহ আমানত বিরতিহীন বাসে চড়ে সরাসরি কাপ্তাই আসা যাবে। কাপ্তাই নতুন বাজার বাস থেকে নেমে সেখান থেকে অটো রিক্সা ভাড়া নিয়ে অনায়াসে লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটে আসা যাবে। চট্টগ্রাম থেকে বাস ভাড়া নেবে জনপ্রতি ৭০ টাকা। কাপ্তাই নতুন বাজার অটোরিক্সা ষ্ট্যান্ড থেকে রিজার্ভ অটো নিয়ে অনায়াসে লেক প্যারাডাইসে আসা যাবে। আর ব্যক্তিগত গাড়িতে চট্টগ্রাম থেকে লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটে আসতে কাপ্তাই লগ গেইট থেকে বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনের পিচ ঢালা পথ ধরে নির্বিঘ্নে আসা যাবে। তবে লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটে পিকনিক করতে হলে অবশ্যই আগে থেকে বুকিং নিতে হবে। বুকিং নিতে যে কোন সময় ০১৭৬৯৭৭২১৭৪/০১৭৬৯৭৭২১৩০ এই নাম্বারে যোগাযোগ করা যাবে। প্রতিদিন লেক প্যারাডাইস পিকনিক স্পটের আকর্ষন বাড়াতে কর্তৃপক্ষ অনবরত কাজ করে যাচ্ছে। পর্যটকরা যাতে এখানে এসে এক সাথে বিনোদনের সব উপকরণ উপভোগ করতে পারেন সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও সংশ্লিষ্টরা জানান।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.