বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে এবার আকাশ থেকে পড়েছে মিয়ানমারের দুটি গোলা।শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান ও দুটি ফাইটিং হেলিকপ্টার সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝি উড্ডয়ন করে।এসময় যুদ্ধ বিমান থেকে ছোঁড়া দুটি গোলা সীমান্ত পিলার ৪০ বরাবর আনুমানিক ১২০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ে।এ ঘটনার পর সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে আগস্ট এর ২৮ তারিখ বিকাল ৩টার দিকে ইউনিয়নের তুমব্রু উত্তরপাড়া জামে মসজিদের পাশে পরপর দুটি মর্টার শেল এসে পড়েছিল।জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন,বিস্ফোরণ না হলেও এক সপ্তাহের মধ্যে দুইবার গোলা পড়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এদিকে এমন ঘটনায় বান্দরবান এর পুলিশ সুপার মো.তারিকুল ইসলাম,পিপিএম এর দেয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়,শনিবার সকাল আনুমানিক ৯টা ২০ মিনিট সময় ঘুমধুম ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপি আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝি স্থানের আকাশে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সেনাবাহিনীর ২টি যুদ্ধ বিমান ও ২টি ফাইটিং হেলিকপ্টার উড়ছিল।এ সময় যুদ্ধ বিমান থেকে আনুমানিক ৮-১০টি গোলা ও হেলিকপ্টার থেকে আনুমানিক ৩০-৩৫টি ফায়ার করতে দেখা যায়।
সীমান্ত পিলার ৪০ বরাবর আনুমানিক ১২০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধ বিমান থেকে ফায়ার করা দুটি গোলা পড়ে।এছাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের তুমব্রু বিজিবি বিওপির সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫ এর মাঝামাঝি প্রতিপক্ষ ২ বিজিপির (মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড অব পুলিশ) তুমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে ৪ রাউন্ড ভারী অস্ত্রের ফায়ার করে। যা চলামান।বিবৃতিতে বলা হয়,এ ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে এবং গোয়েন্দা নজরদারির বাড়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত,২৮ আগস্ট আরও দুটি মর্টার শেল সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার তুমব্রু তে এসে পরার পরপরই বাংলাদেশ এর পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে মিয়ানমারের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়।সেসময় কড়া ভাষায় এই ঘটনার প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ।