বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দৃষ্টি নন্দন উপবন লেকের ঝুলন্ত ব্রিজ,কিড়স জোন,ওযাছ টাওয়ার,পেড়েল বোড়,ব্যাপক পরিচিত পাওয়ায় কোরবানি ঈদের ছুটিতে নাইক্ষ্যংছড়ি সহ পাশ্ববর্তী রামু, কক্সবাজার উখিয়া,চকরিয়া সহ,কক্সবাজার বেড়াতে আসা অনেক পর্যাটক এখন নাইক্ষ্যংছড়ি লেকে সময় কাটাতে আসেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা হয় ঢাকা দোহার থেকে ঘুরতে আসা একটি পরিবারের সদস্য ভদ্র মহিলা মৌসুমীর সাথে।তিনি বলেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন লেকের সৌন্দর্য্য দেখে আমি অনেক আনন্দিত বিশেষ কে এখানকার প্রকৃতিক মনোরন পরিবেশ আমার বেশ ভালো লেগেছে আর বাচ্চাদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য কিড়চ্ জোনে আমার বাচ্চারা ও অনেক আনন্দ উপভোগ করেছে। এখানকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সুন্দর।
দুর দুরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের সমাগমে উপবন লেকটি মানুয়ের পদ ভারে টয়টুম্বর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।এ বিষয়ে কথা হয় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা যুবলীগ নেতা ও লেকের পাশের স্থায়ী বাসিন্দা আনছারুল্লার সাথে।তিনি বলেন ঈদের পরের দিন থেকে ভ্রমণপিপাসুদের ব্যপক আগমন ঘটছে,ঠিকেট বিক্রিতেও ধুম লেগেছে,দুইদিনে প্রায় লক্ষাদিক টাকার উপরে টিকেট বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া কথা হয় কক্সবাজারের রামু প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোযাইব সাঈদ,সাংবাদিক জাহাঙ্গীর সামছ এর সাথে তারা দুজনে প্রতিবেদক কে জানান দৃষ্টি নন্দন লেকের মনোরম পরিবেশ ভাল মত উপভোগ করেছে বিশেষ ভাবে তারা লেকের পানিতে পেড়েল বোড়ে ছড়ে বেশ মজা করেছে।এছড়াও পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি স্থাপন করেছেন দেখে বেশ সাচ্ছন্দ্য বোধ করেছে।খাবারের দাম নিয়েও সন্তুুষ্ট ছিল তারা।সবমিলিয়ে দেখা যায় কক্সবাজার থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি লেকের দূরত্ব-২৫ কিঃমিঃ সময় লাগে এক ঘন্টা,এতে রয়েছে ভ্রমন পিপাসুদের জন্য নির্জাস মনোরম প্রকৃতিক পরিবেশ,ঝুলন্ত সেতু,ওয়াচ টাওয়ার, পেড়েল বোট,বাচ্চাদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য কিড়চ জোনসহ সিসিটিভি সমৃদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সহ পিকনিক স্পট পর্যাটক বান্ধব একটি বিনোদন কেন্দ্র।
এ দিকে উপবন লেকের বিষয় নিযে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস বলেন,পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য আমরা ইতিমধ্যে সিসিটিভি স্থাপন করেছি।এছাড়া আগামীতে আরো একটি ঝুলন্ত সেতু করা সহ নানা পর্যাটন বান্ধব পরিকল্পনার রয়েছে বলে জানান এবং সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।