৯ ডিসেম্বর শুক্রবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে
আন্তর্জাতিক দূর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত হয়েছে।পৃথক ভাবে
বেগম রোকেয়া দিবসও পালিত হলো ব্যাপক আয়োজনের মাধ্যমে। এ দু’দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ও দিবস পালনের লক্ষ্য
যথাযথ ভাবে তুলে ধরা হয় এ সময়।যাতে পাহাড়ি জনপদ নাইক্ষ্যংছড়ির সরকারী কর্মকর্তা ও জনগনকে দূর্নীতি বিরোধী মনোভাব তৈরীতে সহায়ক হয়।অপর দিকে বেগম রোকেয়া দিবস পালনের মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিঞ্চু মনোভাব সৃষ্টিতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয় র্যালীসহ নানা কর্মসূচি পালনকালে।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ চত্বরে আর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ দিবসে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন প্রথম পর্বের প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মা।তিনি বলেন,সকলকে সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে হবে।অনেকে মনে করেন দূর্নীতি শুধু অর্থগত।আসলে তা না।দূর্নীতির আরো অনেক খাত আছে।যেমন-দায়িত্বপালনে সময়ের কাজ সময়ে না করা,কাজে অবহেলা করা,মানুষকে দূর্ভোগে বা ভূগান্তিতে ফেলা,সব-ই দূর্নীতি।
তিনি আরো বলেন,তিনি সরকারী কর্মকর্তা হয়ে ৮ ঘন্টার কাজে ৫ বা ৭ ঘন্টা করলে এটা দূর্নীতি।এখন প্রযুক্তি সবার হাতে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।বদলে যাচ্ছে মানুষের মনোভাব। আমাদেরও মনোভাব বদলিয়ে দূর্নীতি মুক্ত সমাজ বিনির্মানে শরীক হতে হবে।নচেৎ দেশকে অসম্মান করা হবে।
দ্বিতীয় পর্বের প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মংহ্লা ওয়াই মার্মা।বিশেষ অতিথি উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও দোছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ইমরান,অনুষ্ঠানের সভাপতি দুদকের প্রতিনিধি উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাংবাদিক মাঈনুদ্দিন খালেদ,থানার অফিসার ইনচার্জের প্রতিনিধি এস আই ফখরুল,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী নজরুল,উপ সহকারি প্রকৌশলী মিরাজ ,রেজ্ঞ কর্মকর্তা ছাড়াও নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেস ক্লাবের যুগ্ন আহবায়ক আমিনুল ইসলাম, সদস্য সচিব জাহাঙ্গির আলম কাজল,কমিটির সদস্য সাহাবুদ্দিনপ্রেস ক্লাবের সদস্য জয়নাল আবেদীন টুক্কু,মোহাম্মদ ইউনুছ,মহিলা বিষয়ক অফিসের প্রতিনিধি মো.জাহাঙ্গির হোসেন,নারী প্রতিনিধি আয়েশা ছিদ্দিকা,মংওয়ে মার্মা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আয়াজ প্রমূখ।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন,দূর্নীতি সমাজ উন্নয়নে বড় বাধা।এ বাধা অতিক্রম করতে সকলকে সততার সাথে জীবন পরিচালনা করতে হবে।দেশকে ভালবাসতে হবে।