গত বছর ২০২১ সালে ঠিক এ সময়ের পাথর ভাঙ্গা মেশিন ৩টি পুড়িয়ে দিয়েছিল সাথে বিপুল পরিমান পাথর জব্দ করেন উপজেলা প্রশাসন।জব্দকৃত পাথর ৩৬১ নং থাইক্ষ্য মৌজা হেডম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা মংপ্রু মারমা জিমায় রাখা হয়েছিল।কিন্তু পাথর খেকোরা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা সুবাদে ফের চলতি বছরে জানুয়ারী মাসের শুরুতে একই স্থানে মেনরোয়া পাড়ায় পর্যটন কেন্দ্র শিলা ঝিড়িতে খুঁড়ে খুঁড়ে পাথর উক্তোলন করেন একই প্রভাবশালী ব্যক্তি।প্রশাসন জিম্মায় দেয়া মংপ্রু হেডম্যান জানান গত বছরে জব্দকৃত পাথর ও অন্যত্র পাচার করে ফেলেছেন তারা।এ বছরে ও ফের লক্ষ লক্ষ ঘনফুট পাথর উক্তোলন অব্যাহত থাকায় প্রশাসনকে জানাইতে বাধ্য হয়েছি।তিনি চক্ষুলজ্জায় বলতে নারাজ থাকলে ও মুখ খুলে বলেন আওয়ামী লীগের নেতা ইসলাম, যুবলীগের নেতা ও ওয়ার্ড মেম্বার উচনু মারমা এসব সাথে জড়িত।স্থানীয় মেনরোয়া পাড়া বাসিন্দা ইউছুপ ম্রো বলেন,আওয়ামী লীগের উপজেলা নেতাদের ক্ষমতা দাপতে গত তিন বছর যাবৎকাল পর্যন্ত উচনু মারমা ও মো.ইসলাম পাথর উক্তোরন করছেন।আমাদের তিন পাড়া হৈতং খুমী,মেনরোয়া, সাখয কমান্ডার পাড়া এখন পানির অভাব দেখা দিয়েছে।
আর এরই আলোকে বান্দরবানে থানচিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ভাঙ্গা ও বোল্ডার পাথর জব্দ করে।এসময় পাথর ভাঙ্গা মেসিন আগুনে পুরে ছাই করে দেয় প্রশাসন।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বলিপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে মেনরোয়া ম্রো ও হৈতংখুমী পাড়া পর্যটন কেন্দ্র শিলাঝিড়ি নামক স্থানে এপাথর ভাঙ্গার সরজ্ঞাম আগুনে পুরে ছাই করেন।এছাড়াও বিপুল পরিমান পাথর কংক্রিট, বোল্ডার পাথর জব্দ করা হয়।থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ও সমানি নির্দেশে সহকারী কমিশনার ভূমি রাহুল চন্দ নেতৃত্বে গোপন সংবাদে ভিক্তিতে খবর পেয়ে এ অভিযান চালান।অভিযান শেষে সহকারী কমিশনার ভূমি রাহুল চন্দ বলেন,জব্দকৃত সব পাথর হেডম্যান মংপ্রু মারমা নিকট জিমায় রেখেছি হাড়িয়ে গেলে দায় তিনি হবেন।আগামি বর্ষা মৌসুমে পাথর গুলি শিলা ঝিড়িতে মানুষ দিয়ে ফেলানো হবে।