

থানচি প্রতিনিধিঃ-দীর্ঘ ২০ বছর পর পুরোদমে চালু হলো বান্দরবানের থানছি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। সেইসঙ্গে চালু হয়েছে হাসপাতালটির আন্তঃবিভাগ (ইনডোর)।দেয়া হয়েছে বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ।এমনকি চিকিৎসক,নার্স ও কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ব্যবস্থাও সম্পন্ন হয়েছে।জেলা শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে দুর্গম থানছি উপজেলায় ৩১ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালটি চালু হওয়ায় অত্যন্ত খুশি দীর্ঘদিন চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত এখানকার মানুষগুলো।পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) হাসপাতালটির নতুন এ আন্তঃবিভাগের উদ্ধোধন করেন।হাসপাতালটির দুটি রুমে পুরুষ ও মহিলা রোগীদের জন্য রয়েছে ৩১টি বেডের ব্যবস্থা।জানা গেছে,১৯৯৭ সালে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে থানছি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করে।কিন্ত দুর্গম যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎও পানির সংকট,আবাসিক সমস্যাসহ নানা কারণে হাসপাতালটি এতদিন পুরোপুরি চালু করা যায়নি।
বহিঃবিভাগ চালু থাকলেও বন্ধ ছিল এর আন্তঃবিভাগ।মাঝে মধ্যে রোগীরা নিজ খরচে হাসপাতালটিতে থাকতো।চিকিৎসক নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীরা শুধু মাসের শেষে গিয়ে বেতন নিতো।হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এখানকার রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিতে বাধ্য হয়ে যেতে হতো ৮০ কিলোমিটার দূরের জেলা শহরে।তবে যোগাযোগ ব্যবস্থার কিছুটা উন্নতিসহ উপজেলাটিতে সম্প্রতি বিদ্যুৎ সেবা চালু হওয়ায় এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু হলো আন্তঃবিভাগও।উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা সিএইচটি টাইমস ডটকমকে বলেন,স্থানীয়দের দীর্ঘদনের আশা ছিল দুর্গম এই এলাকার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি পুরোদমে চালু হওয়ার।এখন সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।আন্তঃবিভাগ চালু হয়েছে।হাসপাতালটিতে স্বাস্থ্য সেবার পরিবেশও সৃষ্টি হয়েছে।এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা.অংশৈ প্রু মারমা সিএইচটি টাইমস ডটকমকে জানান,এখন থানছি হাসপাতালে ৫ জন চিকিৎসক ও ৭ জন নার্স রয়েছেন।বহিঃবিভাগের পাশাপাশি আন্তঃবিভাগও পুরোপুরি চালু হয়েছে।এ ছাড়া পানি ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়েছে।যে সমস্যাগুলো রয়ে গেছে,তাও শিগগির সামাধান করা হবে বলে জানান ডা.অংশৈ প্রু মারমা।উৎসঃ-(পরিবর্তন ডটকম)