বিশ্বে সর্বপ্রথম ড্রোনের সাহায্যে জরুরী ভিত্তিতে রক্ত সরবরাহ করবে জিপলাইন


প্রকাশের সময় :১৭ এপ্রিল, ২০১৮ ১:৩১ : পূর্বাহ্ণ 703 Views

বান্দরবান অফিসঃ-জিপলাইন বিশ্বের সর্বপ্রথম এবং একমাত্র ড্রোনচালিত ডেলিভারি সার্ভিস।পূর্ব আফ্রিকার একটি দেশ রুয়ান্ডাতে প্রতিদিন সংকটপূর্ণ অবস্থার রোগীদের প্রয়োজনীয় রক্ত,প্লাজমা এবং শ্বেত রক্তকণিকা সরবরাহ করে জীবন বাঁচাচ্ছে এই ড্রোনচালিত ডেলিভারি সার্ভিস।এখন আমাদের যদি কখনো জরুরী ভিত্তিতে রক্ত প্রয়োজন হয় তাহলে তাকে কম করে হলেও বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে হয় যতক্ষণ না যে রক্ত দিবে সে এসে পৌঁছায়।আর তা যদি হয় প্রত্যন্ত কোন অঞ্চলে তাহলে ব্যাপারটা হয়ে পরে আরও দুর্বিষহ। মানব দেহ এমন জটিল একটা জায়গা যেখানে কিছু সময়ের ব্যবধানে ঘটে যেতে পারে বড় ধরণের কোন দুর্ঘটনা।আর এরকম জরুরী প্রয়োজনে ওষুধ এবং রক্ত ড্রোন এর সাহায্যে পৌঁছে দেয়ার সেবা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জিপলাইন নামের একটি স্বয়ংচালিত সরবরাহ প্রতিষ্ঠান।জিপলাইন যেভাবে তাদের সেবা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তা অনেকটাই অন্যরকম।তারা তাদের সেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয় ড্রোনের সাহায্যে যা মূলত স্বয়ংচালিত ফিক্সড উয়িং প্লেনের মত কাজ করে। আর এই ছোট প্লেনটি ঘণ্টায় ১২৮ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে ১.৭৫ কিলোগ্রাম জিনিস নিয়ে। জিপলাইন ড্রোনগুলো বৈরী আবহাওয়ায় ও প্রয়োজনীয়  ওষুধ এবং রক্ত সরবরাহে সক্ষম। জিপলাইনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেলার রিনাউডো বলেন জিপলাইন বিশ্বের সর্বপ্রথম এবং একমাত্র ড্রোনচালিত ডেলিভারি সার্ভিস।পূর্ব আফ্রিকার একটি দেশ রুয়ান্ডাতে প্রতিদিন সংকটপূর্ণ অবস্থার রোগীদের জীবন বাঁচাচ্ছে এই ড্রোনচালিত ডেলিভারি সার্ভিস।২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে রুয়ান্ডা সরকারের সাথে জিপলাইন চুক্তিবদ্ধ হয়।এখন পর্যন্ত রুয়ান্ডাতে একটি জিপলাইনের কেন্দ্র রয়েছে আর এখান থেকে ১৫ টি ড্রোনের সাহায্যে দেশের প্রায় ২১ টি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় রক্ত,প্লাজমা এবং শ্বেত রক্তকণিকা সরবরাহ করছে।এর সাথে রুয়ান্ডাতে রক্ত এবং এই ধরণের পণ্যের ব্যবহার ১৭৫% বেড়েছে এমনকি চিকিৎসা সামগ্রীর অপচয়  ৯৫% কমে গেছে। জিপলাইন শীঘ্রই আরও একটি রক্ত বিতরণ কেন্দ্র দেয়ার পরিকল্পনা করছে।জিপ লাইন মূলত ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক স্বয়ংচালিত ভাবে পণ্য সরবরাহের প্রতিষ্ঠান। এদের আসল উদ্দেশ্য বিশ্বের দুর্গম এবং অনুন্নত জায়গাগুলোতে জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা সামগ্রী এবং রক্ত অল্প সময়ের মধ্যে পৌঁছে দেয়া।স্পেসএক্স,গুগল,বোয়িং,নাসার অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ এবং প্রকৌশলীরা জিপ লাইনের টিমের সাথে সংশ্লিষ্ট।বিশ্বের নামকরা বিনিয়োগকারী যেমন গুগল ভেঞ্চার,ইয়াহু এর প্রতিষ্ঠাতা জেরি ইয়াং থেকে শুরু করে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা পল এলেন সবাই জিপ লাইনের এর ধরণের কর্মকাণ্ডে বেশ অভিভূত এবং বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।বাংলাদেশে রোবট এবং রোবটিক্স বিষয়ক অনেক গবেষণা হচ্ছে-তার সাথে স্বয়ংচালিত এই ধরণের ড্রোন বা যানবাহন নিয়ে যদি গবেষণা হয় তাহলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন আসবে।আমাদের দেশের বিনিয়োগকারী বিশেষ করে সরকারের উচিৎ এই ধরণের সেবা যাতে বাংলাদেশে আসে তার উদ্যোগ নেয়া।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
April 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!