

সারাদেশে একই দামে ইন্টারনেট দিতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সংগঠনগুলোর দেয়া এক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গতকাল। মন্ত্রীর সঙ্গে সম্বর্ধনায় ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও। বেসিস, বিসিএস, আইএসপিএবি, বাক্য এবং ই-ক্যাব দুই মন্ত্রীকে এই সম্বর্ধনা দেয়।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, চট্টগ্রামে যে রেটে ইন্টারনেট পাবো, ঢাকা শহরে যে রেটে ইন্টারনেট পাবো, ময়মনসিংহে বা পঞ্চগড়ে বসবাস করে সে রেটে ইন্টারনেট পাওয়া যাবে না, এর জন্য বাড়তি টাকা গুনতে হবে- এটা কোনো যুক্তির মধ্যে পড়ে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে বসবাস করাটা তো অপরাধ না! গ্রামাঞ্চলে বসবাস করার জন্য বাড়তি পয়সা নেবেন, এটি কোনোভাবে অন্তত সমতা সেবা দেওয়ার পর্যায়ে পড়ে না। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের সঙ্গে আলোচনা করে কীভাবে এই রেট এক করা যায় তা দেখা হবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন একসাথে মিলে কাজ করছে বলেই তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা নিজেদের চ্যালেঞ্জের কথা জানাতে পারছেন এবং সরকারের তরফ থেকে বরাদ্দকৃত প্রণোদনা সঠিকভাবে পাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। উপস্থিত ছিলেন বিসিএস সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার, আইএসপিএবির সভাপতি এম এ হাকিম, বাক্যের সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ এবং ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার।
অনুষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তারা এবং সংগঠনগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সরকারি সব সেবা হবে স্মার্টফোনকেন্দ্রিক
সরকারের সব ধরনের সেবাকে স্মার্টফোন কেন্দ্রিক করা হবে বলেছেন ডাক, টেলিযোগাোযাগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশে স্মার্টফোনের প্রবৃদ্ধি কিছুটা কম বলা হয়। এখন অন্তত ২৫ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করে বলে জানানো হয়। কিন্তু এর প্রকৃত প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি। কারণ, আমাদের দেশে এখনো গ্রে মার্কেটে অনেক হ্যান্ডসেট আসে। সেটা হিসাবে আসে না। গ্রে মার্কেটের এই দৌরাত্ম রুখতে হবে বলে বলেন তিনি।
সেজন্য মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর ডেটাবেজেরে কাজ শুরু হচ্ছে জানিয়ে বলেন, চলতি জানুয়ারি মাসের মধ্যেই মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বরের ডেটাবেজ তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা করছে। খুব তাড়াতাড়ি এর জন্য নীতিমালা প্রণয়নের কাজ করা হবে।এছাড়াও আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের ডাকঘরগুলোকে ডিজিটাল ডাকঘরে রূপান্তর করা হবে। আর শিক্ষাকে ডিজিটাল শিক্ষায় রূপান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।