ভৈরবে জরুরী সেবা নম্বর ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) কল দিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা করেছেন তার ভাই। এ সময় ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত হৃদয় মিয়া (২৩) নামে এক বখাটেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী তরুণী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে এবং স্থানীয় একটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক ২য় বর্ষের ছাত্রী। অপরদিকে, হৃদয় মিয়ার বাড়ি উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের টানকৃষ্ণনগর গ্রামে, বাবার নাম কাজল মিয়া।
এ ঘটনায় ভৈরব থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হয়েছে। গ্রেফতার করা যুবককে বুধবার কিশোরগঞ্জ আদালতে চালান দেয়া হয়।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানিয়েছে, ওই কলেজছাত্রীর মা-বাবা মারা গেছেন, ভাই থাকেন ঢাকায়। এ অবস্থায় পরিবারের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে পাশের বাড়ির বখাটে হৃদয় মিয়া দীর্ঘদিন যাবত তাকে উত্ত্যক্ত করত। কলেজে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই অশ্লীল কথাবার্তাসহ বিরক্ত করত। এ নিয়ে ছাত্রীটি বখাটের পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকবার নালিশ করেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে কয়েক মাস আগে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এতে কিছুদিন চুপচাপ ছিল হৃদয়। এরপর সম্প্রতি ফের উত্ত্যক্ত করা শুরু করলে ছাত্রীটি ভৈরব থানায় একটি জিডি করেন। এরপর মঙ্গলবার তাকে বাসায় একা পেয়ে হৃদয় ভিতরে ঢুকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। এ সময় ছাত্রীটি চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মোবাইলে ঢাকায় তার ভাইকে জানায়। এ সময় ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) কল করে পুলিশের সহযোগিতা চান ছাত্রীর ভাই। ট্রিপল নাইন থেকে খবর পেয়ে ভৈরব থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বখাটে হৃদয়কে গ্রেফতার করে।
ভৈরব থানার ওসি মো. মোখলেছুর রহমান জানান, ‘৯৯৯ থেকে থানায় ডিউটিরত পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়। থানা থেকে বিষয়টি আমাকে জানালে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ওই বখাটেকে গ্রেফতার করি।’