ক্ষুদ্র আয়তনের একটি উন্নয়নশীল দেশ হয়েও বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সারা বিশ্বের নিকট প্রাকৃতিক দুর্যোগের নিবিড় সমন্বিত ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবহার এবং দারিদ্র দূরীকরণে তার ভূমিকা, জনবহুল দেশে নির্বাচন পরিচালনায় স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুতা আনয়ন, বৃক্ষরোপণ, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকের ইতিবাচক পরিবর্তন প্রভৃতি ক্ষেত্রে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে জন্ম নেওয়া এই বাংলাদেশকে আজকের অবস্থানে আসতে অতিক্রম করতে হয়েছে হাজারো প্রতিবন্ধকতা। বাংলাদেশে হচ্ছে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ।
বাংলাদেশের মানুষ আগে বড় প্রকল্পের বাস্তব রূপ দেখার স্বপ্নও দেখতে পারতো না। দুর্নীতির চাপে পড়ে এই স্বপ্ন মুহূর্তেই ধূলিসাৎ হয়ে যেত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে একে একে হাতে নেওয়া শুরু করেন বিভিন্ন বড় বড় প্রকল্পের কাজ। ইতোমধ্যে বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করেছে এই প্রকল্পগুলো।
এদিকে 'ফাস্ট ট্র্যাক' বা দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য অগ্রাধিকার পাওয়া ১০টি বড় উন্নয়ন প্রকল্পে গতি বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে নতুন সরকার। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজের গতি আশানুরূপ ছিল না। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের মাধ্যমে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে প্রকল্পগুলোকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে সরকার। গত নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত পদ্মা বহুমুখী সেতু, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, দোহাজারী থেকে ঘুনদুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল, রামপাল থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর ও সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প লক্ষ্য অনুযায়ী বাস্তবায়ন কাজ এগিয়েছে লক্ষ্যণীয় গতিতে।
এইসব বড় বড় প্রকল্পের সাথে সাথে নতুন করে যুক্ত হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেল। কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী ২০২২ সাল থেকেই এই টানেল দিয়ে যান চলাচল শুর করবে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে ৩ হাজার ৫ মিটার দীর্ঘ টানেল। এটি দেশের প্রথম টানেল প্রকল্প। টানেলটি নেভাল একাডেমি পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে কাফকো ও সিইউএফএল পয়েন্টের মাঝখান দিয়ে অপর প্রান্তে যাবে। ৪ হাজার ৭৯৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার যোগান দেবে চীনের এক্সিম ব্যাংক। বাকি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হবে।
নদীর তলদেশে সর্বনিম্ন ৩৬ ফুট থেকে সর্বোচ্চ ১০৮ ফুট গভীরে স্থাপন করা হবে দু’টি টিউব। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের জন্য ২০১৪ সালের ১০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বেইজিংয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। টানেলটি নির্মাণ করছে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশনস কন্সট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি)। প্রকল্পের ৩২ শতাংশ কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.