ত্রাণ পেয়ে খুশি শতবর্ষী বৃদ্ধা ভিক্ষুক মল্লিকা বানু (বামে), প্রতিবন্ধীদের খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জী। ছবি: যুগান্তর
‘শেখ হাসিনা (হাসিনা সরকার) থাকলে আমরার মত মানুষের না খেয়ে থাহন (থাকা) লাগত না।’ চলমান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে অসহায় হয়ে পড়া সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের শতবর্ষী এক ভিক্ষুক ত্রাণ পেয়ে খুশিতে এমনটাই জানালেন।
সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জী (ইউএনও) ৪নং বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এবং বাদাঘাট ও উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় অর্ধ শতাধিক ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধীদের চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ, লবনসহ সরকারি খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেন।
ইউএনও’র হাতে খাদ্য সহায়তা পেয়ে এদিন স্বস্তিতেবাড়ি ফিরেছেন লকডাউনের কারণে অসহায় হয়ে পড়া এসব ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধীরা।
উপজেলার বারহাল গ্রামের শতবর্ষী বৃদ্ধা ভিক্ষুক মল্লিকা বানু খাদ্য সহায়তা পেয়ে খুশিতে প্রায় আত্মহারা হয়ে পড়েন।
নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশে তিনি বলেন, ‘সরকারের দেয়া পইলা (প্রথম) খাবার পেয়ে বুঝলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (হাসিনা সরকার) থাকলে আমরার মত মানুষের না খেয়ে থাহন (থাকা) লাগত না।’
উপজেলার দিঘিরপাড়ের শারিরীক প্রতিবন্ধী রফিক মিয়া বলেন, ‘ইউএনও সাহেব বিশেষভাবে খোঁজখবর নিয়ে আমাদের হাতে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। অনেকটা নিশ্চিত হয়ে বাড়ি ফিরছি, এ সরকার আমাদের ভাতের অভাবে মরতে দেবেন না।’
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জী যুগান্তরকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমাদের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ চলমান বৈশ্বিক মহামারী করেনাভাইরাসের কারণে অসহায় হয়ে পড়া প্রত্যেক ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী ও নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া পরিবারে খাদ্য সহায়তা পৌঁছাতে আন্তরিক রয়েছেন। এ ধরনের মানুষদের জন্য সরকারি খাদ্য সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
খাদ্য সহায়তা বিতরণকালে সাংবাদিকগণ, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক, যুগান্তর স্বজন সমাবেশের সদস্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।