দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করেছে সরকার। সারাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার অঙ্গীকার ছিল সরকারের যা পূরণে সফল সরকার। আগে সন্দ্বীপে ডিজেল জেনারেটর দিয়ে শুধু পিক আওয়ারে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতো পিডিবি। এখন সন্দ্বীপের মোট বিদ্যুৎ গ্রাহকের সংখ্যা দুই হাজার ৩০০। ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ চাহিদা বৃদ্ধি পেলে বিকল্প কেবলটির মাধ্যমেও বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা যাবে। দুই কেবলের মাধ্যমে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা সম্ভব হবে। এগুলোর স্থায়িত্বকাল ৫০ বছর। এখন সন্দ্বীপের বিদ্যুৎ চাহিদা গড়ে এক দশমিক ৮০ মেগাওয়াট। তবে এখন গ্রিডের বিদ্যুৎ যাওয়াতে সেখানে চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের ফলে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় এখানে শিল্প কারখানা স্থাপনসহ বাণিজ্যিক কর্মকান্ডের ব্যাপক প্রসার ঘটবে বলে সরকার মনে করছে।
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সন্দ্বীপ বাসীর স্বপ্ন পূরণ করলো সরকার। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না কোম্পানি জেডটিটি ১৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। আগামী কয়েকদিন পরীক্ষামূলকভাবে এটি চালু থাকবে। এ মাসের যে কোনোদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। দ্বীপে শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে সঞ্চালন লাইনের জন্য সম্প্রতি আরও ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে সন্দ্বীপের জনগণের মনে বইছে খুশির আমেজ। বিগত বিএনপি জোট সরকারের আমলে এই সন্দ্বীপ ছিল চরম অবহেলিত একটা অঞ্চল এই অঞ্চলের লোকজন সবদিক থেকে পিছিয়ে পড়েছিল। এই সরকার এর আমলে এই এলাকার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে যার ফলশ্রুতিতে এই বিদ্যুৎ সরবরাহ। সন্দ্বীপ এর জনগণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তার এই উপহারের জন্য। তাই এই উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করবে জনগণ।