রাতেও বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘাষিয়াখালী ক্যানেল দিয়ে নৌযান চলাচলের অনুমতি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। তাই এখন থেকে আর এই নৌরুট দিয়ে রাতে নৌযান চলাচলের পূর্বের বিধি নিষেধ থাকছেনা।বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাত থেকেই আন্তর্জাতিক এ ক্যানেল দিয়ে দিনের মতই কার্গো, কোস্টার ও ট্যাংকারসহ বিভিন্ন ধরণের নৌযান চলাচল করতে পারবে।দিনের মত রাতেও সার্বক্ষণিক নির্বিঘ্নে নৌযান চলাচলের জন্য নাইট নেভিগেশনের কাজ শুরু হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএর উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ড্রেজিং বিভাগ) মো.আনসিুজ্জামান রকি জানান,এ ক্যানেলটি উম্মুক্ত করার পর থেকে শুধু দিনের বেলায়ই নৌযান চলাচল করতো। রাতে এ নৌপথ দিয়ে নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ছিলো। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ কর্তপক্ষ সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে রাতেও নৌযান চলাচলের নির্দেশনা দিয়েছেন।
‘রাতে নৌযান চলাচলের এই নির্দেশনা বৃহস্পতিবার বিকেলে আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এই নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই তা কার্যকরে সংশ্লিষ্ট নৌ ক্যানেলের ড্রেজিং কাজে নিয়োজিত সকল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, ড্রেজার মালিকদের অবহিত করা হয়েছে। ’’ যোগ করেন তিনি।
মো. আনসিুজ্জামান রকি জানান, রাতে নৌযান চলাচল উপযোগী রাখার জন্য যাতে তারা তাদের ড্রেজারের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। নৌযান চলাচল নির্ঘিন্ন ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে ড্রেজারগুলোতে পর্যাপ্ত লাইট, রেড মার্কা ও বয়া স্থাপন করতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ক্যানেলটিতে নাইট নেভিগেশনেরও কাজ শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএর নেভিগেশন বিভাগ।
উল্লেখ্য, নাব্যতা সংকটরে কারণে ক্যানলেটিতে ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল র্পযন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মোংলা বন্দরের উপর। কারণ মোংলা বন্দরে আগত বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য দেশের বিভিন্নস্থানে এ নদী পথে আনা-নেয়া হয়ে থাকে। ফলে মোংলা বন্দর সচল রাখার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২০১৫ সালে ক্যানলেটি সচলের জন্য বিআইডব্লিউটিএকে নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বিআইডব্লিউটিএ এ ক্যানেলে খনন কাজ শুরু করে।
২০১৬ সালরে ২৭ অক্টোবর ভিডিও কনফারন্সেরে মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই ক্যানলেটি উম্মুক্ত ঘোষণা করেন। সেই থেকে ২০ জানুয়ারী পর্যন্ত ৫ বছরের অধিক সময় ধরে এ ক্যানেল দিয়ে শুধু দিনের বেলায় নৌযান চলাচল করে আসছিলো।
চলতি সপ্তাহে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ দিনের পাশাপাশি রাতেও নৌযান চলাচলের সিদ্ধান্ত দেয়। সেই সিদ্ধান্তের আদেশ বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘাষিয়াখালী ক্যানেল ড্রেজিং ও সংরক্ষণে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের কাছে এসে পৌঁছেছে।