নাশকতার পরিকল্পনাকালে চট্টগ্রাম ও গাজীপুর থেকে একাধিক জামায়াত কর্মীকে গ্রেফতারের পর এবার গোপন বৈঠককালে টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে জামায়াতে ইসলামীর সাত নারী নেতা-কর্মীসহ আরও ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের সাকরাইল গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, কালিহাতি এলাকায় নাশকতার পরিকল্পনা করতে তারা একত্রিত হয়েছিলো। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে তাদের সে উদ্দেশ্য ভেস্তে যায়। নাশকতার পরিকল্পনার বিস্তারিত জানার জন্য আটককৃতদের রিমান্ডে নেয়া হবে বলেও জানা গেছে।
এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, গ্রেফতারকৃতরা এ অঞ্চলে কোনো নাশকতার জন্য তৎপর ছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কালিহাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার বিকেলে সাকরাইল গ্রামে স্কুলশিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। আটক আনোয়ার ইউনিয়ন মহিলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আইনুন্নাহারের স্বামী এবং সৈকত তার ছেলে। অভিযানে ২৮টি জিহাদি বই ও লিফলেট উদ্ধার করা হয়।
কালিহাতি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সানোয়ার হোসেন বাদী হয়ে আটককৃতদের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃত জামায়াত কর্মীদের সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হবে।
আটককৃতরা হলেন- বাংড়া ইউনিয়ন নারী জামায়াতের সভাপতি রত্না বেগম (৩৫), সাধারণ সম্পাদক আইনুন্নাহার (৫০), একই গ্রামের জামায়াত কর্মী হাওয়া বেগম (৪০), লিপি বেগম (৪০), রাবেয়া বেগম (৬৫), হাফিজা আক্তার (৩৫), লাকি বেগম (৩৮), ফরহাদ (১৯), সৈকত হোসেন (১৯) ও আনোয়ার হোসেন (৫৫)।