নতুন জীবনে ফিরছে দেড়শ ইয়াবা কারবারি


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ২:১৬ : অপরাহ্ণ 665 Views

বাংলাদেশে মাদক কারবারি নতুন কিছু নয়। বহুবছর আগে থেকেই এই দেশে মাদক কারবারি চলে আসছে। আগে দেশে মাদক বলতে গাঁজা, ফেন্সিডিল আর হেরোইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও বেশ কয়েক বছর ধরে দেশে নতুন মাদক হিসেবে যোগ হয় ইয়াবা। সস্তা ও সহজলভ্য হওয়ায় মাদকাসক্তদের মাঝে নতুন মাদক হিসেবে প্রবেশ করে ইয়াবা। মিয়ানমারের সীমান্ত দিয়ে দেশের ভেতর ঢুকে পড়া এই মাদক সহজেই আসক্তদের হাতে হাতে পৌঁছে যাচ্ছে।
ছোট থেকে বড় প্রায় সবাই ইয়াবার নেশায় আসক্ত হচ্ছে। যা রীতিমত উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শেখ হাসিনার বর্তমান নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় নিয়মিতভাবে মাদক কারবারিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়তে শুরু করেছে। এর ফলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসে পড়েছে মাদক। তবে এর মধ্যে একটি বিষয় জনগণের মাঝে খুশির সংবাদ বয়ে নিয়ে আসছে। তা হল, প্রায় দেড়শ ইয়াবা কারবারিরা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। যেই জেলা দিয়ে মিয়ানমার থেকে দেশের বাজারে ইয়াবা প্রবেশ করে, সেই জেলাতেই হয়েছে এই আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠান।
শনিবার সকালে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম. মাসুদ হোসেন অনুষ্ঠানের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন।
এসপি জানান, অনুষ্ঠানের আগেই দেড় শতাধিক তালিকাভুক্ত ও চিহ্নিত ইয়াবা চোরাকারবারি আত্মসমর্পণের জন্য কক্সবাজারের বিশেষ একটি স্থানে নিজেদের উদ্যোগে নিরাপদ হেফাজতে জড়ো হয়েছিলেন। আরও অনেকে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
এদিকে আত্মসমর্পণকারীরা স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ পাবেন বলে জানান এই ‍পুলিশ কর্মকর্তা।
১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে বিমানে কক্সবাজার পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওইদিন বিকালে কক্সবাজারে জেলার ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। আজ সকালে তিনি টেকনাফে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে যান।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আগমনের সার্বিক প্রস্তুতির তদারকিতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী তার আগেই কক্সবাজারে এসেছেন বলেও জানান এসপি।
এসপি মাসুদ জানান, গত বছরের শেষ দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা সর্বশেষ তালিকায় ইয়াবা পাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত ১ হাজার ১৫১ জন কক্সবাজারের। তাদের মধ্যে শীর্ষ ইয়াবা চোরাকারবারি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৭৩ জনকে।
আত্মসমর্পণকারীদের নতুন সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে বলে জানা গেছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
April 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!