দ্বন্দ্ব, কোন্দল ও বলয়ের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতি। জানা গেছে, তৃণমূলের সবচেয়ে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে যেখানে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে মূল্যায়ন করা হতো সেখানে আজ সংগঠনটির নেতারা নানান ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।
গোপন সূত্র বলছে, দ্বন্দ্ব, কোন্দল আর বলয় তৈরি করতে গিয়ে নিজেরাই নিজেদের সংগঠনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে ফেলেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতারা। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে জেলা বিএনপির অবস্থা একেবারেই করুণ। যেখানে বর্তমান সভাপতিও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অজানা কারণে বিরত থাকছেন।
এদিকে খামখেয়ালিপনায় আর স্বেচ্ছাচারিতা প্রতিষ্ঠা করায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কার্যক্রমের উপর এখন আদালতের নির্দেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মহানগর বিএনপিতে এরপরেও থেমে নেই কাদা-ছোড়াছুড়ি। তবে উত্তরণের উপায় বাতলে দেওয়ার মতো নেতৃত্ব খুঁজে পাচ্ছে না তৃণমূল।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পকেট কমিটিতে নেতাদের পছন্দের লোক দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। যারা কমিটিতে রয়েছে তারা বিগত সময়ে সংগঠনের জন্য কিছুই করেনি। কিন্তু তারাই এখন পদধারী নেতা। এমনভাবে চলতে চলতে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি কূল হারিয়ে ফেলেছে।
নারায়ণগঞ্জ শহর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালও বা কেন এই অভিযোগের কোনো উত্তর নেতাকর্মীদের দেননি। এখন বিএনপির কার্যক্রমের ভবিষ্যৎ কী তাও কারো কাছে উত্তর নেই।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ শহর ছাত্রদলের সভাপতি ও মহানগর বিএনপির সদস্য শাহেদ আহমেদ বলেন, ‘এটি খুবই লজ্জার যে জেলা বিএনপিতে যতটা না রাজনীতি চলছে তারচেয়ে কয়েকগুণ বেশি চলছে অপরাজনীতি। মূল সংগঠনের নেতাদের কর্মকাণ্ডে আমরা লজ্জিত। কাউকে বঞ্চিত করে আর নিজের সুবিধা বুঝে রাজনীতি করার কারণেই এমনটা হয়েছে। এর সদুত্তর না পেলে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। কারণ, এরকম একাধিক ইস্যুতে বিভক্ত নেতারা। সবাই স্বার্থের কথা ভাবছে, দলের কথা কেউই ভাবছে না।