

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ক্যাম্প-২২ এ বলিপাড়া নারী কল্যাণ সমিতি (বিএনকেএস) এর বাস্তবায়নে ভিন্নধর্মী নানা আয়োজনে আর্ন্তজাতিক নারী দিবস-২০২৫ পালন করা হয়েছে।প্রকল্পের পুরো টিম এর তত্বাবধানে দিবসটিকে ঘিরে আলোচনা সভা,নারী অভিভাবকদের নিয়ে ইনডোর গেমস এবং “হার ভয়েস,হার স্টোরি” শীর্ষক নারীদের আলোচনা সভাসহ নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়।উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা গ্লোবাল এফেয়ারর্স কানাডা (গাক) ও ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন এফেয়ারর্স এন্ড ট্রেড (ডিএফএটি) অর্থায়ন এবং উন্নয়ন সহযোগী ব্র্যাক-পুল্ড ফান্ড এর সহযোগিতায় “সার্পোট টু এফডিএমএন ইন কক্সবাজার এন্ড ভাসানচড় ইন এ্যডুকেশন, লাইভলিহুড এন্ড ওয়াশ সেক্টর” ব্র্যাক পুল্ড ফান্ড এ্যডুকেশন প্রকল্পের সহযোগিতায় এবারের নারী দিবসের এসব আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
দিবস উপলক্ষে রবিবার (৯ই মার্চ) সকালে ক্যাম্প ইনর্চাজ মিলনাতয়নে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও ক্যাম্প-২২ এর ইনচার্জ সাইদুজ্জামান চৌধুরী।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ক্যাম্প-২২ এর সহকারী ইনচার্জ এমডি শফিকুল বারী।এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্প-২২ এর এ্যাডুকেশন ফোকাল (ব্র্যাক) মিজ রোকসানা আক্তার,সাইট ম্যানেজমেন্ট ফোকাল নজরুল ইসলাম (আইওএম),বিএনকেএস এর উক্ত প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মিস মুমু রাখাইন,অরুনাংশু চাকমা (এফএফ, বিএনকেএস),কমিউনিটি লিডারসহ সংশ্লিষ্টরা।এসময় প্রকল্পের অংশীজন,এনজিও প্রতিনিধি এবং প্রকল্পের টিম সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এবং উপস্থিত সকলকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৫ এর শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক মিস মুমু রাখাইন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “বিএনকেএস এর এমন একটি অংশগ্রহণমূলক অনুষ্ঠান আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়।নারীদের প্রতি সম্মান শুধু একদিন নারী দিবস পালনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। নারীদের সম্মান,মর্যাদা,নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।নারীর প্রতিবন্ধকতা গুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং সমাধানের পথ খোঁজতে হবে।বিএনকেএস ক্যাম্প ২২ এ শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের পাশাপাশি প্রতিটি সিবিএলএফ (শিক্ষাকেন্দ্রে) এ নারী শিক্ষিকা নিয়োগের মাধ্যমে নারী ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে।প্রতিটি নারী শিক্ষিকা রোহিঙ্গা কমিউনিটির জন্য আইডল হিসেবে কাজ করছে।একজন শিক্ষিত,স্বাধীন ও আত্মনির্ভরশীল নারী মানে একটি শক্তিশালী পরিবার,একটি সচেতন সমাজ এবং একটি উন্নত জাতি।
এসময় তিনি আরো বলেন,প্রতিটি নারীর বা মানুষের নিজের অধিকার আদায়ে নিজেকে এগিয়ে আসতে হবে।এছাড়া উপস্থিত কমিউনিটি লিডারদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন,নারীর প্রতি সহিংসতা কোনওভাবেই সমোঝতা করার বিষয় নয়।নারী এবং মেয়ে শিশুদেরও নিরাপদ পরিবেশ গড়ার জন্য আমাদেন সবাইকে আরো আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।“হার ভয়েস,হার স্টোরি” শীর্ষক আলোচনা সভায় নারী অভিভাবকরা এসময় তাদের নিজেদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।এতে তাদের ব্যাক্তি জীবনে ঘটে যাওয়া অনেক অসমতা এবং বৈষম্যের চিত্র উঠে আসে।একজন নারীর সামনে এগিয়ে যেতে হলে বৈষম্যহীন একটি জীবনযাপন নিশ্চিতে পরিবার এবং সমাজের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।