এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের পাশাপাশি মাদক ব্যবসায় বাধার কারণেই ভাইকে না পেয়ে বোন বুবলীকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসী শাহ আলম বাহিনী। একই সাথে এক বছর আগে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর প্রতিশোধতো ছিলই।
চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীদের হাতে গৃহবধূ খুন এবং পরবর্তীতে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে শাহ আলম নিহত হওয়ার নৈপথ্যে বের হয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ছোট বোনের বিয়েতে বেড়াতে আসাই কাল হলো চট্টগ্রামের বাকলিয়ার বুবলী আকতারের। খালাতো ভাই হাসান এবং ছোট ভাই রুবেলকে না পেয়ে বাসায় ঢুকে বুবলীকে গুলি করেছিলো শাহ আলম। এ মৃত্যুকে কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না পরিবারের সদস্যরা।
কান্নাভরা কণ্ঠে নিহত বুবলীর বোন বলেন, ‘আমার বোন বলতেছে তোমরা এখানে কেনো, এখানে কি চাই। এরপর আমার বোনকে আর সময় দি নাাই।’
সন্ত্রাসীদের হাতে গৃহবধূ বুবলী আক্তার নিহত হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে পুলিশ।
এর মধ্যে সন্ত্রাসী শাহ আলম দু’হাতে দু’টি পিস্তল নিয়ে নেতৃত্ব দেয় এই কিলিং মিশনে। তার সাথে ধারালো অস্ত্র হাতে ছিলো আরো ৩ জন। এর মাঝে একজন শাহ আলমের ভাই নুরুল আলম।
হত্যাকারীদের চিহ্নিত করেই তাদের গ্রেফতারে মাঠে নামে পুলিশের একাধিক টিম। ভোর ৪ টার দিকে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত কিলিং মিশনের মূল অভিযুক্ত শাহ আলম। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয় ২ সহযোগীকে।
মূলত এক বছর আগে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় হাসানকে ছুরিকাঘাত করেছিলো শাহ আলম। এ ঘটনায় শাহ আলম গ্রেফতার’ও হয়েছিলো। সবশেষ জামিনে মুক্ত হয়ে এসে প্রতিশোধ নিতে শাহ আলম শনিবার রাতে এ হামলা চালিয়েছিলো।