সিএইচটি নিউজ ডেস্কঃ-স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়ে বিশাল আয়োজনে অপরিকল্পিতভাবে হত দরিদ্র নারী-পুরুষদের জড়ো করে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করার কারণে সাতকানিয়ার নলুয়া ইউনিয়নের ঘাটিয়া ডেঙ্গা এলাকায় পদদলিত হয়ে অকালে প্রাণ গেলো ১১ নারীর।আর এ ঘটনাকে ভিন্নভাবে প্রবাহিত করে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে বির্তকিত শিল্প প্রতিষ্ঠান কবির স্টিল (কেএসআরএম)।দুর্ঘটনার কয়েকঘন্টার মাথায় জরুরী সংবাদ সম্মেলন করে মূল কারণ পাশ কাটিয়ে কেএসআরএম কর্তপক্ষ বলছে পদদলীয় হয়ে নয়,মৃত্যু হয়েছে হিটস্টোকে মারা গেছেন নিহতরা নারীরা।নগরীর আগ্রবাদ বারিক বিল্ডিং এলাকার কেএসআরএম অফিসে সোমবার সন্ধ্যায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।এতে বলা হয়, অতিরিক্ত লোকসমাগমনের ভীড়ের গরমে হিটস্টোক হয়ে মারা গেছে ৯ নারী।যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারের পাশে থাকবে কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ।নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে তিন লাখ টাকা ও পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেয়া হবে বলে লিখিত বক্তব্যে জানান,কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম।সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান,প্রতিবছর কেএসআরএম মালিক রোজার আগে ইফতার ও যাকাত সামগ্রী দিয়ে থাকেন সাতকানিয়ার দুস্থদের।এবছরও প্রায় ২০ হাজার লোককে ইফতার সামগ্রী ও যাকাত দেওয়ার কথা ছিল।সোমবার প্রায় ১২ হাজার লোককে যাকাত ও ইফতার সামগ্রী বিতরণের কথা ছিল জানিয়ে তিনি বলেন,সকাল আটটা থেকে ইফতার সামগ্রী বিতরণের কাজ শুরু হয়।এজন্য মহিলা পুলিশসহ ১০০ পুলিশ ও নিজস্ব ২০০ জনের মতো স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত ছিল।এর মধ্যে দুপুরের দিকে লোকজনের চাপ বেড়ে গেলে তীব্র গরমে হুড়োহুড়িতে হিট স্ট্রোক ও শ্বাসকষ্টে বেশ কয়েকজন মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়ে।তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় নয়জন মারা যায়।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেহেরুন বলেন,সোমবার ইফতার ও যাকাত বিতরণে প্রতিষ্ঠানের কোনো গাফিলতি ছিল না। আমরা বিষয়টি মৌখিকভাবে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে জানিয়েছি।এদিকে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোবারক হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন সকাল বেলা ইফতার সামগ্রী নেওয়ার জন্যে প্রচুর মানুষ এসেছে।তাদের প্রেসারে এই ঘটনাটা ঘটেছে।ভিড়ের চাপাচাপিতে হয়তো পদদলিত হয়ে ঘটনাটা ঘটে থাকতে পারে। এটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।তিনি বলেন, আমাদেরকে তারা (কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ) এ ব্যাপারে অবহিত করেনি,তথ্য দেয়নি।ইফতার সামগ্রী যে বিতরণ করবে,এটা প্রশাসনকে জানায়নি। তারা তাদের মতো করে অ্যারেঞ্জ করেছে।আমরা উপজেলা প্রশাসন কিংবা জেলা প্রশাসন বিষয়টা অবহিত নই।আমাদের জানা থাকলে হয়তো, অন্যভাবে সহযোগিতা করতে পারতাম।অথবা আমরা,যেহেতু অতীতেও এ ঘটনা ঘটেছে,আমরা এ বিষয়গুলোকে এখন ডিসকারেজ করি।আমরা এখানে এসে যা শুনেছি,সবাই বলতেছে ২০০৭ সালের দিকেও এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে।’সেই ঘটনাতেও ৬জন মানুষ নিহত হয়েছিলেন।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.