খুলনায় সরকার ঘোষিত ১০ টাকা মূল্যের চাল পাবে ৮৩ হাজার ৯৪৪ পরিবার। প্রতিটি পরিবার মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবে। বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখতে এবং করোনাকালে কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় নিম্নআয়ের মানুষের জন্য এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এ কর্মসূচি চলবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় খুলনার ৬৮টি ইউনিয়নে বিক্রি করা হবে ১০ টাকা কেজির চাল। জেলায় ৮৩ হাজার ৯৪৪ পরিবার এ সুবিধা পাবে। এর মধ্যে দাকোপ উপজেলায় ১৪ হাজার ৬৯৫ পরিবার, ডুমুরিয়া উপজেলায় ৮ হাজার ৯৫৬, পাইকগাছা উপজেলায় ১৩ হাজার ১২৩, তেরখাদা উপজেলায় ৪ হাজার ৫২০, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ১০ হাজার ৫০৪, ফুলতলা উপজেলায় ৪ হাজার ৮৪, কয়রা উপজেলায় ১০ হাজার ৩৫৯, রূপসা উপজেলায় ১০ হাজার ২৮৮ ও দিঘলিয়া উপজেলায় ৭ হাজার ৪১৫ পরিবার পাবে এ সুবিধা।
জেলার ৬৮ ইউনিয়নে ১৭৩ জন ডিলার আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ চাল বিক্রি করবেন। আমন ধান ওঠার আগ পর্যন্ত অর্থাৎ নভেম্বর পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। প্রতিমাসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দুস্থ অসহায় পরিবারের মধ্যে বিক্রি হবে ২ হাজার ৫১৮ টন চাল।
সূত্র আরও জানায়, চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিল মাসে এসব কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ১২ হাজার ৫৮৭ টন চাল বিক্রি করা হয়েছে। জেলার দুটি কেন্দ্রীয় খাদ্যগুদাম ও উপজেলা পর্যায়ে ৮টি গুদামে মজুদ রয়েছে মোট ৫৪ হাজার ৬৮০ টন চাল। মজুদকৃত চালের মধ্যে ১৬ হাজার ৪১৮ টন ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে।
খুলনা জেলা খাদ্য অফিসের সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার মহানগরীর বাজারগুলোয় মোটা চাল প্রতিকেজি ৪৩ থেকে ৪৪ টাকা, মাঝারি চাল ৪৮-৫০ টাকা, চিকন চাল ৫৬-৫৮ টাকা এবং উপজেলা পর্যায়ে মোটা চাল ৪১ থেকে ৪২ টাকা, মাঝারি চাল ৪৬-৪৮ টাকা এবং চিকন চাল ৫৪-৫৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
বটিয়াঘাটা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, এ কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীদের জন্য সরবরাহ করা হয়েছে নতুন কার্ড। সুষ্ঠুভাবে বিক্রির জন্য ডিলারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রবি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সপ্তাহে ৫ দিন এ চাল বিক্রি হবে।
ডুমুরিয়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সুজিত মুখার্জি বলেন, উপজেলা খাদ্যগুদামে মজুদ সংকট হলে জেলা খাদ্য অফিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রীয় অথবা পার্শ্ববর্তী গুদাম থেকে ডিলারদের সংগ্রহ করতে হবে চাল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে খাদ্য অধিদপ্তরের একজন পরিচালক জানান, করোনাকালে নিম্নআয়ের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় সরকার তিন মাসের জন্য এ সুযোগ দিয়েছে। এ চাল কালোবাজারে বিক্রি করা হলে সরাসরি ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আমন ওঠার আগ পর্যন্ত চলবে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য এ কর্মসূচি।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.