চট্রগ্রাম প্রতিবেদকঃ-এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বলেছেন,বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া অমূলক।যারা লুটপাট করেছে,তাদের খবর নেই, অথচ নিরপরাধ সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে কারাগারে নেয়া হয়েছে।তিনি অভিযোগ করে বলেন,খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার বিষয়টি সরকারের পূর্ব পরিকল্পিত।তাকে যে কারাগারে রাখা হয়েছে, সেটি অপরিচ্ছ্ন্ন।বিএনপি নেত্রীকে কারাগারে পাঠানোর সব বন্দোবস্ত আগেই ঠিক করে রাখা হয়েছিল।নাহয় ছয়শো বত্রিশ পৃষ্ঠার রায় মাত্র দশদিনে কিভাবে লেখা হয়?জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের প্রতিবাদে বিএনপি যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে,তাতে সমর্থন করেন এলডিপি চেয়ারম্যান।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।এছাড়াও একই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত।রায়ের পর পরই খালেদা জিয়াকে আদালতের পাশে নাজিমউদ্দিন রোডের লালদালানখ্যাত ২২৮ বছরের পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।২০১৬ সালের ২৯ জুন থেকে ছয় হাজার ৪০০ বন্দিকে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ার রাজেন্দ্রপুরের নতুন কারাগারে স্থানান্তর করে পুরান কারাগার বন্ধ ঘোষণা করা হয়।কিন্তু দুই বছর চার মাস ১০ দিন পর দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে এই পরিত্যক্ত কারাগারেই দিন পার করছেন খালেদা জিয়া।চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ করছে বিএনপি।শনিবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট,বরিশাল,রাজশাহী ও খুলনায় পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা।গতকাল জুম্মার নামাজের পর সারাদেশে জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ করেছে দলটি।দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির অর্ধশতাধিক কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।এর মধ্যে,রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে আটক করা হয় তিনজনকে।