চুয়াডাঙ্গায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবু রাসেলের গাড়িতে বোমা হামলা করে পালাতে গিয়ে খালিদুজ্জামান টিটু (২০) নামের এক ছাত্রলীগকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের দর্শনা ফিলিং স্টেশনের সামনে হামলা চালিয়ে পালানোর সময় এএসপির দেহরক্ষীর গুলিতে আহত হন তিনি। এ সময় তাকে আটক করে পুলিশ।
খালিদুজ্জামান টিটু চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি কলেজ ছাত্রলীগকর্মী। টিটু দর্শনা ইসলাম বাজারের মৃত মোজাহিদ আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, রোববার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার উথলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সড়ক দুর্ঘটনার স্থান পরিদর্শন শেষে চুয়াডাঙ্গায় ফিরছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেলসহ চার কনস্টেবল।
সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল জানান, রাত ৯টার দিকে জীবননগর -চুয়াডাঙ্গা সড়কের দর্শনা ফিলিং স্টেশনের কাছে পৌঁছালে মোটরসাইকেল আরোহী দুইজন আমার গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়ে মারে। বোমাটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে গাড়ির ডান দিকের গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় পুলিশ হামলাকারীদের ধাওয়া করলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ গুলি ছুঁড়লে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে টিটু নামে এক যুবক আটক হয়।
রাতেই চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম তাৎক্ষণিক এক প্রেস বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার গাড়িতে হামলা চালিয়ে বড় ধরনের অঘটন ঘটনানোর পরিকল্পনা ছিল হামলাকারীদের। তবে অল্পের জন্য পুলিশের সবাই প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আওলিয়ার রহমান জানান, গুলিতে আহত যুবকের ডান পা ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। এ ছাড়া তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে ঢাকাতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
দর্শনা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন তপু জানান, টিটু ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত। তিনি ভালো ছেলে। বোমা হামলার ঘটনাটি শুনেছি-বিশ্বাস করতে পারছি না। বিষয়টি আমার কাছে ধোঁয়াশা। এ হামলার ঘটনা সত্য হলে তদন্তপূর্বক প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হোক। নিরপরাধ হলে তাকে ছেড়ে দেয়ার কথা জানান ওই ছাত্রলীগ নেতা।