দেশে প্রতিটি পর্যটন স্পটে পর্যটনদের সংখ্যা বাড়াতে নতুন করে প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এর আওতায় পর্যটন স্পটগুলোতে নতুন করে সাজানোর কাজ শুরু করেছে সরকার। এর অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে নতুন আঙ্গিনায় নিয়ে গেছে সরকার। এই সমুদ্র সৈকতে আগের বড় পাথর বদলিয়ে দেয়া হয়েছে ছোট বড় রঙ বেরঙের পাথর। নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ হাটার রাস্তা। সেই সাথে করা হয়েছে চোখ জুড়ানো ফুলের বাগান। আর সম্পূর্ণ এই কাজটি করা হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে।
সৈকতের স্বল্প দূরত্বে করা হয়েছে বসার স্থান, হাঁটার পথ ও সবুজ বাগান। পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতে দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়েছে আগের তুলনায়। রাতের আলো ঝলমল পরিবেশ যেন অপরূপ দৃশ্য। পুরোপুরি বদলে গেছে আগের পরিবেশ।
একদিকে সমুদ্র তলদেশ দিয়ে নির্মিত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল। এ টানেল সন্নিহিত এলাকায় নির্মিত হচ্ছে ১৭ কিলোমিটারব্যাপী সিটি আউটার রিং রোড। আনুষ্ঠানিকভাবে এ রিং রোড খুলে দেওয়া না হলেও সমুদ্রের অপরূপ দৃশ্য উপভোগে ইতোমধ্যে সৌন্দর্য পিপাসুদের ভিড় জমজমাট রূপ নিচ্ছে। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নারী-পুরুষ ও শিশুদের উপস্থিতি। এ যেন হাজারও মানুষের মিছিল। দুই ভাগে সৈকতের পাঁচ কিলোমিটারজুড়ে দু’পাশে যতদূর চোখ যায়, কেবল মানুষ আর মানুষ।
পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের ৫ কিলোমিটারেরও বেশি ওয়াকওয়েতে একসঙ্গে ৫০ হাজার মানুষ হাঁটতে পারবে। এলাকাটিকে দুটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। জোন ওয়ান ও জোন টু। জোন ওয়ান হচ্ছে সমুদ্রসৈকত। জোন টু হচ্ছে পাঁচ কিলোমিটার শেষে রিং রোড। সেখান থেকে আসা-যাওয়ার জন্য ক্যাবল কারের ব্যবস্থা থাকবে। পর্যায়ক্রমে ফাইভ স্টার হোটেল, কনভেনশন হল, শপিং মলসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এলাকা গড়ে তোলা হবে।
পরিবার-পরিজন, বন্ধু ও প্রিয় মানুষকে নিয়ে দর্শনার্থীরা চষে বেড়াচ্ছে আধুনিক পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত। কেউ ব্যস্ত সুসজ্জিত বাগানের ফুলের সঙ্গে ছবি তুলতে। কেউ বা বসার আসনে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন আয়েশে। অনেকে আবার হাঁটাপথ (ওয়াকওয়ে) ধরে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করছিলেন। কেউ কেউ একটু নিচে নেমে সমুদ্রের বালুচরে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে পানিতে গোসল করছেন মনের আনন্দে। বাগানে ফোটা ফুলের ঘ্রাণে মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করছেন সমুদ্রের বিশালতা। স্পীড বোটে চড়ে চক্কর দিচ্ছেন সমুদ্রে। অন্যদিকে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিচ কমিউনিটি পুলিশকে তৎপর থাকতে দেখা গেছে। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে অতিরিক্ত দর্শনার্থীদের বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
এদিকে নতুন করে সাজানোর পর থেকে আগের তুলনায় বেশ আনাগোনা বেড়ে সৈকত এলাকায়। নতুন করে বসা ও হাটার জায়গা তৈরি করার কারণে অনেকেই আসছেন তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে। ভ্রমণের ফাকে তারা জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের এই পর্যটন স্পটকে ঘিরে যে কাজটি করেছেন তার কারণে আমরা উনার প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকবো। মুন নামের অন্য এক দর্শনার্থী বলেন, আগে এই এলাকায় আলো কম ছিলো। সন্ধ্যার পরই এখানে ভুতুড়ে পরিবেশে সৃষ্টি হতো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই সৈকতকে নজর দিয়ে কাজের মতো কাজ করেছেন। এখন রাতে একা হাঁটলেও ভয় লাগে না। কারণ চারদিকে আলো আর আলো। প্রতিটি স্পটে নিরাপত্তা বাহিনী টহলে থাকে। আমরা শেখ হাসিনার প্রতি চির কৃতজ্ঞ।
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.