বাংলাদেশে কাউকে ‘সংখ্যালঘু’ না ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বলেছেন দেশটা সব জাতি,ধর্ম,বর্ণের।হিন্দু ধর্মের অবতার শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিনের উৎসব জন্মাষ্টমীর পরদিন বৃহস্পতিবার গণভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখানে সংখ্যালঘু সংখ্যাগরিষ্ঠের কোনো কথা নেই। এখানে সব মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বাস করবে।জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছিল।”
২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি। বলেন, “মাতৃভূমিকে এগিয়ে নিতে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান, সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। আমরা আমাদের জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ও ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব।“বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং স্মার্ট সরকার, স্মার্ট দক্ষ জনশক্তি,স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সোসাইটি নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে আরো এগিয়ে যাবে।”
তার সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংবিধান সংশোধন করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও অধিকার পুনরুদ্ধার করেছে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, “সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান সংবিধান সংশোধন করে সব ধর্মের অধিকার রক্ষা ও ধর্মীয় উৎসব পালনের স্বাধীনতা সংক্রান্ত সব অনুচ্ছেদ বাতিল করেছিলেন।“জিয়া সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বাতিল করে দেন, যা আমাদেন ধর্মীয় নিরপেক্ষতাকে নিশ্চিত করেছিল।”
দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের যে কোনো পদক্ষেপ এবং জাতির অগ্রগতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার সম্পর্কে সবাইকে সর্বদা সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।