দেশে করোনা মহামারিকালের সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি বিরাজ করছে এখন। সংক্রমণের ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে মানুষের চলাচল সীমিত করে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। লকডাউনে সব ধরনের অফিস-আদালত থেকে শুরু করে শিল্প-কলকারখানাও বন্ধ রয়েছে। এতে অর্থনীতির ক্ষতি হলেও জীবনকে প্রাধান্য দিচ্ছে সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, জীবন আগে, অর্থনীতি পরে। তিনি আজ সোমবার (২৬ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি বয়স্ক ব্যক্তিকেই টিকার আওতায় আনা হবে, কাউকে বাদ দেওয়া যাবে না। সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। ইউনিয়ন পরিষদ, গ্রাম, এমনকি ওয়ার্ড পর্যায়ে পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সোর্স থেকে করোনার টিকা আনার প্রচেষ্টা চলছে, এরইমধ্যে টিকা আসছেও। টিকার অভাব হবে না।
এর আগে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, দেশে টিকার সমস্যা আল্লাহর রহমতে কেটে গেছে। আগস্ট মাসে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ফাইজার-বায়োএনটেকের আরও ৬০ লাখ ডোজ টিকা আসছে। সব মিলিয়ে আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে দেড় থেকে পৌনে ২ কোটি ডোজ টিকা বাংলাদেশের হাতে আসবে; যার মধ্যে মডার্না এবং সিনোফার্মের টিকা এরইমধ্যে দুই দফায় দেশে চলেও এসেছে।
আর এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২১ কোটি টিকার ব্যবস্থা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, এরইমধ্যে রাশিয়ার ১ কোটি ডোজ স্পুটনিক ভি, চীনের সিনোফার্মের ৩ কোটি ডোজ, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি, কোভ্যাক্সের আওতায় ৭ কোটি ও জনসন অ্যান্ড জনসনের ৭ কোটি ডোজ টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী ২৬ বা ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে আরও ৩০ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা দেশে আসবে। টিকা সংরক্ষণে ২৬টি কোল্ড ফ্রিজার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে আনা হয়েছে। এগুলোয় মাইনাস ৭০ ডিগ্রিতে রাখার মতো টিকাও সংরক্ষণ করা যাবে। বিভিন্ন দেশ থেকে নতুন করে আরও যে টিকা আসবে, সেগুলো সংরক্ষণ করতে কোনও সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।