চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্য উৎপাদন ও আমদানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) এসব নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভাশেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সবার আগে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। কারণ, যতই আমদানি করা হোক– তাতে আসল সমস্যার সমাধান হবে না।
দ্বিতীয়ত, বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে হবে। এসব কর্মীরা বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরিতে নিয়োজিত হবে এবং দেশে আরও বেশি রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবে।
তৃতীয়ত, প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) প্রত্যাবাসনের বিষয়েও কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেমন রেমিট্যান্স পাঠাতে কোনো আলাদা ফি দিতে হবে না।
প্রেরক ব্যাংক এই দায়িত্ব নেবে। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর অন্যান্য ক্ষেত্রেও বিষয়টি সহজ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চতুর্থত, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এজন্য দেশে বিনিয়োগের শর্ত আরও নমনীয় করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, দেশে খাদ্যের মজুত সব সময় সন্তোষজনক অবস্থানে রাখার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে।
খাদ্য আমদানিতে নির্দিষ্ট কিছু কর ছাড় করা যায় কিনা– সে বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।