গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, শুধু ঢাকায় নয়, আগামীতে চট্টগ্রামেও প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল নির্মাণের কথা বলেছেন। এরই মধ্যে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সময়ে সংশ্লিষ্টরা চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্প একনেক সভায় পাঠাবেন। আমরাও এটা অনুমোদন করব। এছাড়া যেখানে বড় শহর আছে, যে শহরে বিমানবন্দর আছে সেখানেও মেট্রারেল হতে পারে। এ বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। আর নালা বা খালের পানি রক্ষা করা এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের তলদেশে সিমেন্ট দিয়ে পানি সরবরাহে বাধা তৈরি না করতেও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত প্রকল্পের অর্থ ছাড়ের উদ্যোগ নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। স্থানীয় সরকারের আয় বাড়াতে হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে নিজস্ব আয় বাড়ানোর নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সিটি করপোরেশনের সীমানা না বাড়িয়ে ছোট ছোট উপশহর তৈরির নির্দেশনাও দিয়েছেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের অনেক সময় প্রকল্প একাধিকবার সংশোধন করতে হয়। এটার জন্য আমরা ঠিকাদার ও গণপূর্ত অধিদপ্তরকে দোষারোপ করি। কিন্তু যে পরামর্শকের মাধ্যমে নকশা হলো, তারা আড়ালে থেকে যায়। তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, চলতি বছর তিনটি মেগা প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে। পদ্মা সেতু জুনে, কর্ণফুলী টানেল অক্টোবর ও মেট্রোরেল (রুট-৬) ডিসেম্বরে চালু হবে। তিনটি প্রকল্প চালুর পর জিডিপিতে বাড়তি ১ দশমিক ৫ থেকে ২ শতাংশ যোগ হবে।