ফেনী নদীর উপর নির্মিত ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাবরুম ও বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়কে যুক্ত করা বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা তার বক্তব্যে বলেন, ফেনী নদীর উপর নির্মিত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ দুই দেশের মধ্যে শুধুমাত্র সেতুবন্ধই রচনা করবে না, বরং ব্যবসা-বাণিজ্য এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিরাট অবদান রাখবে।মৈত্রী সেতু চালু হওয়ায় দুই দেশের মানুষের মধ্যে বন্ধন আরো সুদৃঢ় হবে, উন্নয়ন হবে জীবন মানের। দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বিপ্লব কুমার দেবও বক্তব্য রাখেন। খাগড়াছড়ির রামগড় ও ভারতের ত্রিপুরার সাবরুম সীমান্তে ফেনী নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুই দুই দেশের মধ্যে প্রথম কোন সীমান্ত সেতু।
এসময় ত্রিপুরাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি মনে করি এই সেতু আমাদের দুই দেশের মাঝে শুধু সেতুবন্ধই রচনা করবে না বরং ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে। শুধু চট্টগ্রাম পোর্ট নয়, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও ত্রিপুরাবাসী ব্যবহার করতে পারবে।
এছাড়া ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ত্রিপুরার সহযোগিতার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আমরা ভুলি নাই ১৯৭১ সালে কীভাবে আমার জনগণকে আপনারা আশ্রয় দিয়েছিলেন, সমর্থন দিয়েছিলেন, সহযোগিতা করেছিলেন এবং আমরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছিলাম।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এই সেতুর মাধ্যমে ত্রিপুরার সাথে চট্টগ্রাম বন্দরসহ এই অঞ্চলের সরাসরি যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে, বাড়বে ব্যবসা বাণিজ্য।
পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, এই সেতুর ফলে ত্রিপুরা মিজোরামসহ আশপাশের এলাকার বাণিজ্য বাড়ার পাশাপাশি পর্যটন খাতও বিকশিত হবে। সেতুটির ফলে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে অনেক অগ্রগতি সৃষ্টি হবে।
ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়েস অ্যান্ড ইনফ্রাস্টাকচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন ৮২.৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রামগড়ের মহামুনিতে ফেনী নদীর উপর ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য ও১৪.৮০ মিটার প্রস্থের মৈত্রী সেতু ২০১৭ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে নির্মাণকাজ শুরু করে দীর্ঘ ৩ বছর পর গত জানুয়ারীতে নির্মাণকাজ শেষ করে।দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সেতু উদ্বোধন হওয়ায় খুশি রামগড়ের সাধারণ মানুষ।