সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুদৃঢ় এবং পাহাড়ী-বাঙ্গালী মানুষের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরীসহ প্রান্তিক জনপদে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মেধাবী খেলোয়াড়দের জাতীয় পর্যায়ে তুলে আনার লক্ষ্য নিয়েই সেনা রিজিয়ন এই টুর্ণামেন্টের আয়োজন করেছে। সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা থাকায় টুর্ণামেন্টটি সফলভাবে শেষ হলো।আগামীতেও সেনা রিজিয়ন এই ধরনের খেলাধুলা আয়োজন করবে।
সেনা রিজিয়ন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২২ এর ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন বান্দরবান সেনা রিজিয়ন এর রিজিয়ন কমান্ডার মো.জিয়াউল হক এনডিসি,এএফডাব্লিউসি,পিএসসি।
এসময় রিজিয়ন কমান্ডার,টুর্নামেন্ট এর সফল সমাপনীর জন্য বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো.ইসলাম বেবীসহ সংশ্লিষ্ট সকল কে ধন্যবাদ জানান। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানারর্সআপ দল এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে খেলোয়াড়দের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.জিয়াউল হক।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিজিএফআই ডেট কমান্ডার জিএস কর্ণেল এবিএম ফারুকুজ্জামান,বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আবুল হাসনাত শাহরিয়ার ইকবাল,জোন কমান্ডার লে.কর্ণেল মাহমুদুল হাসান,পিএসসি,উপঅধিনায়ক মেজর মাহমুদুল হাসান সোহাগ,পিএসসি,জেএসও-২ (ইন্ট) ক্যাপ্টেন নাঈম পারভেজ,বান্দরবান পৌর মেয়র ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা এর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বেবী।শুক্রবার (১ জুলাই) বিকেলে বান্দরবান জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা দল ১-০ গোলে আলীকদম উপজেলা দলকে পরাজিত করে টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন শিরোপা নিশ্চিত করে।
খেলার প্রথমার্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি একাদশের মংক্য মারমার একমাত্র গোলে দলটি সেনা রিজিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্ট-২২ এর চ্যাম্পিয়ন ট্রফি অর্জন করে।
খেলায় আলীকদম উপজেলা দল একটি প্যানাল্টি পেলেও গোলের দেখা পায়নি।দ্বিতীয়ার্ধে পুরো মাঠ জুড়ে প্রাণপণ দর্শনীয় ফুটবল শৈলী উপহার দিলেও গোলের দেখা পায়নি ফলে রানার্সআপ ট্রফি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়।টুর্ণামেন্টে নাইক্ষ্যংছড়ি একাদশের অধিনায়ক উসাই মং মারমা সেরা গোলদাতা হয়েছেন।একই দলের প্রুহ্লাচিং মারমা সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।
উল্লেখ্য,শুক্রবার (২৪ জুন) অত্যন্ত জাকজমকপূর্ণ উদ্বোধন এর মধ্য দিয়ে বান্দরবান জেলা স্টেডিয়াম মাঠে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।টুর্নামেন্টে ৮টি দল অংশগ্রহণ করে।