বান্দরবান এলজিইডি পরিবারের আয়োজনে শুরু হলো বিজয় দিবস দ্বৈত ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট-২২।সোমবার (২৮ নভেম্বর) বান্দরবান এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় চত্বরে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন বান্দরবান এলজিইডি এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম মজুমদার।এসময় সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনসহ এলজিইডি এর বিভিন্ন পর্যায়ের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়,বান্দরবান এলজিইডি এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম মজুমদার এর আগ্রহ ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ক্রীড়ার মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস এর মহিমান্বিত তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়েই এমন একটি টুর্নামেন্ট এর আয়োজন করলো এলজিইডি পরিবার।
এলজিইডি পরিবার শিরোনামে আয়োজিত টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করছে বান্দরবান এর ৭ উপজেলা এলজিইডি তে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। অন্যদিকে বান্দরবান জেলা-উপজেলা পর্যায় এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয়েছে আরও একটি দ্বৈত ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট।নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিদিন সন্ধ্যার পর এলজিইডি কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়রা কোর্টে নামছেন এবং ক্রীড়া শৈলী উপহার দিচ্ছেন।এলজিইডি পরিবার আয়োজিত টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী টিম গুলো কে দুটি পৃথক গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে (এ ও বি)।এতে ২৪ টি দ্বৈত ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে (সেমিফাইনাল,তৃতীয় স্থান নির্ধারণ ও ফাইনালসহ)।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর আয়োজিত জেলা-উপজেলায় কর্মরতদের নিয়ে অনুষ্ঠেয় অন্য টুর্নামেন্ট কে চারটি পৃথক গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে (এ,বি,সি,ডি) এবং এতে প্রতিটি দ্বৈত দল তিনটি করে ম্যাচ খেলতে পারবে।এতে ৩২ টি দ্বৈত ম্যাচে অনুষ্ঠিত হবে (কোয়ার্টার ফাইনাল,সেমিফাইনাল,তৃতীয় স্থান নির্ধারণী এবং ফাইনালসহ)।সুষ্ঠুভাবে টুর্নামেন্ট পরিচালনার জন্য গঠন করা হয়েছে কমিটি।ম্যাচ পরিচালনায় রাখা হয়েছে কঠোর নিয়মকানুন।যেখানে সুনির্দিষ্টভাবে দশটি নির্দেশনা উল্লেখ করা হয়েছে।গ্রুপ পর্যায়ের প্রতিটি ম্যাচে বিজয়ীরা পাবেন ২টি করে পয়েন্ট।
এবিষয়ে বান্দরবান এলজিইডি এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম মজুমদার বলেন,খেলাধুলা একটি নির্মল বিনোদন।ছাত্রজীবন থেকে খেলাধুলার সাথে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত।কর্ম জীবনেও আমি খেলাধুলার আয়োজন গুলো তে সামনে থাকার চেষ্টা করি।
বিজয় দিবস দ্বৈত ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট-২২ তাঁরই একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।এতে এখানকার সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ একটি নির্মল বিনোদন এর সাথে সম্পৃক্ত হতে পারলো।তাছাড়া শরীর কে সুস্থ রাখতে ক্রীড়া চর্চার কোনও বিকল্প নাই।