আগের ম্যাচে কূটকৌশলে জস বাটলারকে মানকাড় আউট করে দল জিতিয়েছিলেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের অধিনায়ক রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দল জেতালেও দুর্নামও কুড়িয়েছেন প্রচুর তিনি। তবে বুধবার তার ভুলেই বলতে গেলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে ২৮ রানে হেরেছে দল।
এদিন কলকাতার ইনিংসে ব্যক্তিগত ৩ রানের মাথায় আন্দ্রে রাসেলের স্টাম্প উড়িয়ে দেন মোহাম্মদ শামি। কিন্তু আম্পায়ার নো বলের কল দেন। কারণ অশ্বিন ত্রিশ গজ বৃত্তের ভেতর রাখেন মাত্র তিন ফিল্ডার, যেখানে থাকার কথা ন্যূনতম চারজন। আর ‘জীবন’ পেয়ে ইডেন গার্ডেন্সে আবার তাণ্ডব চালান ক্যারিবীয় এই অল রাউন্ডার। ফেরেন ১৭ বলে ৪৭ রান করে। মেরেছেন ৫টি ছক্কা ও ৩চটি চারে।
এর আগে রোববার সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ১৯ বলে অপরাজিত ৪৯* রানের এক দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছিলেন তিনি।
রাসেলের তাণ্ডব আর রবীন উথাপ্পা ও নিতিশ রানার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৮ রানের বিশাল স্কোর গড়ে কলকাতা। উথাপ্পা ৫০ বলে অপরাজিত ৬৭* ও রানা ৩৪ বলে ৬৩ রান করেন। এছাড়া সুনিল নারিন ৯ বলে ২৪ রান করেছেন।
দারুণ খরুচে ছিলেন পাঞ্জাবের বোলাররা। অধিনায়ক অশ্বিন ৪ ওভারে করে দিয়েছেন ৪৭ রান, ছিলেন উইকেট শূন্য। মোহাম্মদ শামি, বরুণ চক্রবর্তীর গড়ও ছিল ১১ এর ওপরে।
এদিকে বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বড় স্কোর গড়তে পারেনি পাঞ্জাব। ওপেনার লোকেশ রাহুলকে (১) হারায় দলীয় ১১ রানে। ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইলও ২০ রান করেই ফেরেন সাজঘরে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন ডেভিড মিলার। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটসম্যান ৪০ বলে অপরাজিত ৫৯* রান করেন। মায়াঙ্ক আগারওয়াল ৩৪ বলে করেন ৫৮ রান। এছাড়া মানদ্বীপ সিং ১৫ বলে অপরাজিত ৩৩ রান করেন। তবু নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯০ রান পর্যন্ত তুলতে পারে পাঞ্জাব।টানা দ্বিতীয় খেলাতেও সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন রাসেল।