সিএইচটি নিউজ ডেস্কঃ-প্রথমবারের মতো কোনো সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর সংবাদ সম্মেলন করলেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।এর আগে রংপুর ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর সাংবাদিকদের নিজেদের মূল্যায়ন নিয়ে বিফ্র করলেও মঙ্গলবার (১৫ মে) খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হননি তিনি।সাধারণত নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সিইসির প্রেস ব্রিফিং অনেকটা প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে সিইসি নির্বাচনে অনিয়ম, অনিয়ম প্রতিহত করতে তাদের ভূমিকা ইত্যাদি তুলে ধরেন। কিন্তু খুলনা সিটি নির্বাচনের পর সাংবাদিকরা তার জন্য অপেক্ষা করলেও শেষ পর্যন্ত সামনে আসেন ইসি সচিব।
জানা যায়, নির্বাচন শেষ হওয়ার পর বিকেল সোয়া ৪টার দিকে অন্য চার নির্বাচন কমিশনারকে তার কক্ষে ডাকেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠক করার পর এসএম আসাদুজ্জামান উপস্থিত সংবাদকর্মীদের জানান, সিইসি ব্রিফ করবেন না। অবশেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এসে বলেন, শাস্তিপূর্ণ পরিবেশে চমৎকার, সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। যা হয়েছে তা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।তিনি জানান, ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩টি ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। কেন্দ্র তিনটি হলো- ইকবালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, লবণচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং গাজী মালেক ছালেহীয়া দারুল সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসা।এদিকে, সংবাদকর্মীরা বলছেন, কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সময় প্রায় সব নির্বাচনেই অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা হয়েছে। তারপরও তারা প্রতিটি নির্বাচনের পর সংবাদ সম্মেলন করে জাতিকে নিজেদের ভূমিকার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু ঠিক কি কারণে সিইসি নূরুল হুদা গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন না, এ নিয়ে নানা আলোচনা তাদের মধ্যেও। অনেকেই বলছেন, দু’টি ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়ার পর হয়তো ‘কারচুপির’ সিটি নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নবানকেই এড়ালেন বর্তমান কমিশন।