বান্দরবান অফিসঃ-জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিবেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন একটি চিঠি দিয়েছেন। আজ মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেন। অনির্ধারিত এই আলোচনা শেষে সর্বসম্মতি সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সংলাপে বসবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোনো শর্ত ছাড়াই হবে এই সংলাপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপে দলের পক্ষে নেতৃত্ব দিবেন। শিগগির আলোচনার স্থান ও সময় জানানো হবে।’
তবে তিনি বলেন, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে কোনো চাপের মুখে এই সংলাপ হচ্ছে না এবং তারা কোনো পূর্বশর্তও দিচ্ছে না। আমরা কারও চাপের মুখে নতি স্বীকার করিনি। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা কাউকে সংলাপে ডাকিওনি।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘তারা সংলাপ করতে চান, ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। সংলাপের দরজা সবার জন্য খোলা। শেখ হাসিনার দরজা কারও জন্য বন্ধ থাকে না।’
এর আগে গতকাল রোববার বিএনপিকে নিয়ে জোট করা প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী সভাপতি শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে পৃথক চিঠি দেন।
সেই চিঠির বিষয়ে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনা হয়। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী সংলাপের বিষয়ে সাড়া দেন।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি আজ আপনাদের ও পুরো জাতিকে সারপ্রাইজ দেব। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার সম্মতিক্রমে এই সুখবর জানাব। এ খবরে রাজনীতির মাঠে শান্তির বাতাস বইবে বলে মনে করি।’
এরপরই তিনি সংলাপের বিষয়ে দলীয় সভাপতির সম্মতির কথা জানান।
সংলাপের বিষয়ে ঘোষণার পরেই ওবায়দুল কাদের সংবাদ সম্মেলন ছেড়ে উঠে যান। এ সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যে ঘোষণা দিলাম, এর চেয়ে বড় কোনো ইস্যু নেই। অন্য বিষয়ে কোনো কথা বলব না।’
এর আগে গতকাল রোববার শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সব দলের অংশগ্রহণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে অর্থবহ সংলাপ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।
ওইদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপের কাছে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এই চিঠি পৌঁছে দেন। ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক ও যুগ্ম-মহাসচিব আ ও ম শফিউল্লাহ এ চিঠি দেন।