নিউজ ডেস্কঃ-দেশে তখন সবেমাত্র সাধারণ মানুষের নাগালে আসতে শুরু করেছে কম্পিউটার। সাধারণ মানুষকে কম্পিউটার সম্পর্কে আগ্রহী করতে বিটিভিতে অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতেন,এই অনুষ্ঠানেই দেখালেন ছোট্ট এক শিশুর কম্পিউটারে দারুণ দক্ষ হয়ে ওঠার গল্প।এর পরের গল্পটি আজকের বাস্তব।ঘরে ঘরে এখন কম্পিউটার,হাতে হাতে স্মার্টফোন।দেশে প্রযুক্তির দুয়ার খুলে দেয়া এই মানুষটি মোস্তাফা জব্বার।আজ মঙ্গলবার প্রযুক্তিপ্রেমী মানুষটিকে দেয়া হলো মন্ত্রীর দায়িত্ব।সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। শপথ নেয়ার আগে থেকেই দেশকে প্রযুক্তি শিল্পে স্বনির্ভর করতে নিজের আন্তরিকতা প্রকাশ করে আসছিলেন তিনি।
এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে রোবট সোফিয়াকে দেখতে উপচে পড়া ভিড়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মূল ফটকে তার সঙ্গে সেলফি তুলতে দেখা যায় ভক্তদের। এর ফাঁকে তিনি কথা বলেন চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে।প্রযুক্তি নির্ভর বর্তমান সময়ে চলছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশের জন্য আশা জাগানো কথা শোনান মোস্তাফা জব্বার।তিনি বলেন:-এতো বছর আমরা যে শ্রম দিয়েছি তার ফলাফল নবীনদের এই প্রযুক্তি উদ্দীপনা।বাংলাদেশ শিক্ষায়,মাথাপিছু আয়ে পিছিয়ে ছিলো।প্রযুক্তির ধারে কাছেও আমরা ছিলাম না।প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শিল্প বিপ্লব আমরা মিস করেছি। এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যখন আসছে তখন প্রশ্ন জেগেছে আমরা এটাও মিস করবো কিনা।কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশ এবং এই আয়োজনের চিত্র বলছে না আমরা মিস করবো না।আমাদের জনগোষ্ঠী এখন প্রযুক্তি সচেতন হচ্ছে।এই সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কার্যকরভাবে কাজে লাগানো গেলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ কেবলমাত্র অংশ নিবে না নেতৃত্ব দিবে।বাংলাদেশে এখন তরুণ বয়সীদের সংখ্যা আধিক্য বেশি।এটাই পৃথিবীর হিসেবে সবচেয়ে বড় সম্পদ।এই সম্পদ কাজে লাগাতে হবে।২০১৭-২০১৮ সালে বাজেটে দেশের প্রযুক্তিখাতের জন্য আশা জাগানো পদক্ষেপের পেছনেও ছিলেন তিনি।তাই বাজেট ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেছিলেন:-ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের উদ্দেশ্যপূরণে বর্তমান সরকারের এবারের বাজেট ‘মাইলফলক’।ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ধারণার ওপর ভিত্তি করে তথ্য-প্রযুক্তির মহাসড়কে অনেকটা পথ হেঁটেছে বাংলাদেশ।এবার সেই পথ আরও বিস্তৃত করার পালা। দেশজুড়ে হাইটেক পার্ক গড়ে তুলে তথ্য-প্রযুক্তি উদ্যোক্তা সৃষ্টির পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিতে এবারও বরাদ্দ বেড়েছে এই খাতে।তবে এবারের বাজেটে কিছু চাওয়া পূরণ না হওয়ার আফসোসও জানিয়েছিলেন তিনি।বলেছিলেন:-ইন্টারনেট ডিজিটাল বাংলাদেশের মহাসড়ক।তবু ইন্টারনেটের দাম মাত্রাতিরিক্ত। আমরা ইন্টারনেটের দাম কমানো উচিৎ এটাই সরকারকে যেনো বোঝাতেই পারছি না।দেশে উৎপাদিত প্রযুক্তি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে অন্যান্য রপ্তানি পণ্যের মত নগদ সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী,অর্থমন্ত্রীও এই ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। তারপরও এবার নগদ সহায়তার বিষয়ে স্পষ্ট করে কোনো নির্দেশনা-প্রস্তাবনা না পাইনি। তবে এটা অচিরেই পাবো বলে আশা করি।দেশে প্রযুক্তিখাতের এসব প্রত্যাশা,প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির কথা বলে আসা পরিচিত মানুষটি এখন মন্ত্রী সভার সদস্য।টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর এই প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করতে পারবেন মোস্তাফা জব্বার সেটাই এখন দেখার বিষয়।দেশকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে প্রযুক্তি মহাসড়কে পৌঁছে দেয়া মোস্তাফা জব্বার এইখাতে ভরসার নাম।তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অন্যতম সংগঠন বেসিসের সভাপতি হওয়ার আগে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)-এর চারবারের সভাপতি ছিলেন তিনি।ছিলেন বেসিসের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ও পরিচালক।উৎসঃ-(চ্যানেল আই অনলাইন)
Publisher - Lutfur Rahman (Uzzal)
Published By The Editor From chttimes (Pvt.) Limited (Reg.No:-chttimes-83/2016)
Main Road,Gurosthan Mosque Market, Infront of district food Storage, Bandarban hill district,Bandarban.
Phone - News - 01673718271 Ad - 01876045846
Copyright © 2024 Chttimes.com. All rights reserved.