লাহোরে পিএসএলের আলোচিত ফাইনাল খুব একটা জমলো না। এক তরফাভাবে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়ের্সকে ৫৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিলো পেশোয়ার জালমি।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে পেশোয়ার জালমি। জবাব দিতে নেমে ১৬.৩ ওভারে ৯০ রান তুলতেই অলআউট কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স। ফলে ৫৮ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হলো এনামুল হক বিজয়ের দল।
পিএসএলের ফাইনালের মধ্য দিয়েই প্রমাণ হয়ে গেলো কোয়েটার মূল শক্তিই ছিলো বিদেশিরা। টুর্নামেন্টজুড়ে পারফর্ম করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নেই। জাতীয় দলের অ্যাসাইনমেন্টে যোগ দিতে তিনি চলে এলেন কোয়ালিফায়ারের আগেই।
পুরো টুর্নামেন্টে কোয়েটাকে দারুণভাবে টেনেছেন কেভিন পিটারসেন। প্রথম কোয়ালিফায়ারেও তিনি ছিলেন দলটির অন্যতম পারফরমার; কিন্তু লাহোরে চরম অনিশ্চয়তাকর পরিস্থিতিতে তিনি খেলতে আসলেন না।
বিদেশিদের না পেয়ে কোয়েটাকে শেষ পর্যন্ত বিকল্প বেছে নিতে হলো। বাংলাদেশের এনামুল বিজয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের রায়াদ এমরিত, দক্ষিণ আফ্রিকার মরনে ফন উইক এবং জিম্বাবুয়ের শিন আরভিন।
এদের মধ্যে আরভিনই শুধুমাত্র সর্বোচ্চ ২৪ রান করতে সক্ষম হলেন। এছাড়া মরনে ফন উইক ১ রান, এনামুল হক বিজয় ৩, রায়াদ এমরিত করেন ৬ রান। বিদেশিদের সহযোগিতাছাড়া কোয়েটা যে পুরোপুরি অচল, প্রমাণ হয়ে গেলো ফাইনালের মধ্য দিয়েই।
কোয়েটার হয়ে ২২ রান করেন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ, ২০ রান করেন আনোয়ার আলি। বাকিরা দাঁড়াতেই পারেনি। পেশোয়ার জালমির হয়ে ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ আসগর। ২টি করে উইকেট নেন হাসান আলি ও ওয়াহাব রিয়াজ। ১টি করে নেন মোহাম্মদ হাফিজ ও ক্রিস জর্ডান। বাকিজন রানআউট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামার সময় পেশোয়ার অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি বলেছিলেন, আগের ম্যাচেও টস হেরে আমরা ১৮০’র বেশি রান করেছিলাম এবং জিতেছি। আজও হয়তো ভালো কিছু হবে। ব্যাট করতে নেমে কামরান আকমলের ৪০, ড্যারেন স্যামির ১১ বলে অপরাজিত ২৮, মারলন স্যামুয়েলস ১৯, ডেভিড মালান করেন ১৭ রান। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে পেশোয়ার জালমি।
তবে পিএসএলের ফাইনালে জয় যারই হোক, দিন শেষে ম্যাচটা তো শেষ হতে পেরেছে। যে চরম অনিশ্চয়তা ছিল, সে সব কাটিয়ে পিএসএলের ফাইনালের কল্যাণে ক্রিকেটেরই জয় হয়েছে।