

বাংলাদেশের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ,অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পর্যবেক্ষক এবং দেশটির কংগ্রেসের সাবেক সদস্য জিম বেটস।নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ দেখেছেন বলেও জানান জিম।রোববার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
জিম বেটস বলেন,বাংলাদেশে বিশ্বের সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে ভোট হয়।আমি যেটা পেয়েছি তাতে বলা যায় এখানে খুব শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে।আমার চোখে আমি যেটা দেখেছি,সেটি হচ্ছে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।এমন একটি নির্বাচন যেটা পেশাদারিত্বের সঙ্গে পরিচালনা করা হয়েছে। ভোটারদের মধ্যেও অনেক উৎসাহ ছিল।
তিনি বলেন,যখন আমি দেখি,বিরোধী দল নির্বাচন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়,এই দল একবার ওইদল আরেকবার।দেশকে ভালোর জন্য সবাইকে এক হয়ে আসতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক পর্যবেক্ষক এবং আমেরিকান গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিসের প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্ডার গ্রে বলেন,এখানকার নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও ভোটগ্রহণ দেখে আমি ও আমার সহকর্মী সম্মানিত বোধ করছি।আমরা যেসব কেন্দ্রে গিয়েছি,সেখানে পেশাদারিত্বের উচ্চমান দেখেছি।নির্বাচন কমিশনকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে দেখেছি।
কানাডার সংসদ সদস্য চন্দ্রকান্ত আরিয়া বলেন, সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের অবাধ ও সম্পূর্ণ সুযোগ থাকার বিষয় আমরা খতিয়ে দেখেছি ও নিশ্চিত হয়েছি। অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোটারদের কাছে প্রচারণার সুযোগ ছিল কি না, আমরা সেটাও দেখেছি। কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই ভোটার ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি আমি দেখেছি।
তিনি বলেন,সফলভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে আমরা অভিনন্দন জানাতে চাই।দুই বছর আগে কানাডার সবচেয়ে বড় প্রাদেশিক নির্বাচনে ৪৩ শতাংশ ভোট পড়েছিল।মানুষ বলেছে উপস্থিতি কম,কিন্তু কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি।এক বছর আগে ফেডারেল নির্বাচনে ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
কানাডার এই সংসদ সদস্য বলেন,ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে,কিন্তু দিন শেষে আমাদেরকে দেখতে হবে রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিয়েছে কি না।সেটি দেখা যায়নি।মানুষ ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীন ছিল। রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্তে তারা ভোটে আসল কি, আসল না।ভোটের প্রক্রিয়াটা অবাধ ছিল,আমরা সেটিকে গ্রহণ করছি।
বিরোধীদের নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে এক প্রশ্নে আরিয়া বলেন, ভোট বর্জন করা কোনো রাজনৈতিক দলের কৌশলগত সিদ্ধান্ত,সেটি তারা নিজেদের স্বার্থে করে থাকে।তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে মন্তব্য করা আমাদের কাজ নয়।
দক্ষিণ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরামের নির্বাহী পরিচালক পাওলো কাজাকা বলেন,ভোটের আগে সহিংসতার যে চিত্র ছিল,ভোটের দিন তার কিছুই দেখিনি।গণতন্ত্রের প্রতি শুদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চমৎকার।এই দিনটা আমি উপভোগ করেছি।ভোট কেন্দ্রগুলোতে নারী ও পুরুষ ভোটাররা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তাদের প্রার্থীদের বেছে নিতে যেভাবে ভোট দিয়েছে,তা দেখার মতো ছিল।ভোট শেষে ভোটারদের আঙুলে কালি দেওয়া এবং ভোটার তালিকায় ভোটারদের ছবি আমাকে মুগ্ধ করেছে।তিনি বলেন,শুধু তাই নয় ভোটের পক্রিয়া ছিল খুবই দুর্দান্ত,যা দেখে আমি অবাক হয়েছি।এই ভোটে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল।